বুধবার, জানুয়ারী ১৯, ২০২২
এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় প্রাইভেটকার পুকুড়ে পড়ে দুই উপপরিদর্শক নিহত হওয়ার ঘটনায় সারাদেশের পুলিশ পরিবারে নেমে এসেছে শোঁকের ছায়া। নিহত দুইজন উপপরিদর্শকের মধ্যে একজন কাজী সালেহ আহমদ। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মনসুরাবাদ। সড়ক দুর্ঘটনায় গ্রামের সন্তান হিসেবে তার অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকায় চলছে এক শোকের ছায়া।
নিহত উপপরিদর্শক কাজী সালেহ আহমদ এর গ্রামের বাড়ির স্বজন ও সাধারণ গ্রামবাসীদের অনেকেই জানান তিনি ছিলেন কাজী নরুল ইসলামের এক মাত্র ছেলে। ছোট বেলা থেকেই কাজী সালা উদ্দিন ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও শান্ত প্রকৃতির। তার অকাল মৃত্যুকে আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না বলে অনেকের চোখে কণে জ্বল গড়িয়ে পরে।
উল্লেখ্য, পুলিশের বহন করা মাইক্রোবাস পুকুরের পানিতে পরে দুইজন উপপরিদর্শক নিহত ও একজন আহত হন। তাদের একজন উপপরিদর্শক। নিহত উপপরিদর্শক কাজী সালেহ আহমদ এর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার নিকট আত্মীয় স্বজন সবাই শেষ বারের মত প্রিয় মানুষটিকে বিদায় জানাতে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
এই বিষয়ে তার চাচাতো বোন জামাই মোঃ নাজিম মুন্সী বলেন, নিহত পুলিশের উপপরিদর্শক এর লাশ ঢাকায় দাফন করা হবে। যে কারণে গ্রামে বাড়িতে কেউ নেই। তবে তার মৃতুতে গ্রামের সবাই মর্মাহত ও শোকাহত।
মরিয়ম বেগম জানান, আমার ভাতিজা (কাজী সালেহ আহমদ) অত্যন্ত নম্র ভদ্র ছিল। ওর বাবা ঢাকায় একটি ব্যাংকে চাকরি করতো যার কারণে পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকতো। হঠাৎ এই ভাবে চলে যাওয়ায় আমরা নির্বাক হয়ে গেছি। সবাই ঢাকা গেছে ঐ খানে মানিকের (কাজী সালেহ আহমদ) দাফন হবে।
গতকালের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর আলী বলেন, রশি বেঁধে গাড়িটি উল্টে ইট দিয়ে গ্লাস ভাঙা হয়। এরপর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে মৃত্য ঘোষণা করেন। কাজী সালেহ আহমদ এর দাফন ও জানাজা আজ দুপুরের জোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তার স্বজনেরা।
এমআই