শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

কিস্তির টাকা নিয়ে স্বামী লাপাত্তা, থানায় জিডি

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২০, ২০২২
কিস্তির টাকা নিয়ে স্বামী লাপাত্তা, থানায় জিডি

মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সর্বহারা হয়ে পড়েন দুই সন্তানের জননী রিনা আক্তার। স্বামীর সন্ধান চেয়ে ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই অসহায় নারী। কিস্তি থেকে টাকা উত্তলন করে দোকানের মালামাল আনবে বলে বাড়ি থেকে বাহির হওয়া স্বামী আজ ১৭/১৮ দিন যাবৎ আর ফিরে আসেনি।

ঘটনাটি ঘটে গত ৪ জানুয়ারী ২০২২ইং নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলাধীন ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া নামক স্থানে। 

অভিযোগ সুত্রে জানাজায়, রিনা আক্তার (২৮) ঢাকাতে গার্মেন্সে চাকুরী করার সময় জৈনক আবদুল বাকের প্রকাশ ওমর ফারুক(৪৬)এর সহিত পরিচয় এবং ২০০৯ সালে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পূর্বে আবদুল বারেকের আগের  সংসারের মোঃ তারেক প্রকাশ রাব্বি(১৭) নামে একটা ছেলে সন্তাও ছিলো। সব কিছু মেনে নিয়ে সুন্দর সংসার কাটাচ্ছিলেন দুইজনে, এবং মেয়ের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাটে দীর্ঘদিন বসবাস করতেছেন তারা দুইজন। এক পর্যায়ে ব্যবসার জন্য ডিএসডি, ব্রাক, প্রিজমসহ কয়েকটি সংগঠন থেকে ৪,৫০,০০০ (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) নিয়ে ৪ তারিখ সকালে চৌমুহনী থেকে মাল আনবে বলে বাপ বেটা বাহির হয় আর পিরে আসেনি।

এই বিষয় ভুক্তভোগী নারী রিনার সাথে আলাপকালে সে জানায়, আমার সতিনের ছেলেকে নিজের ছেলের মত করে আমি পড়ালেখা করাইতেছি, এবং কখনো বুঝতে দিইনি যে আমি তার মা নয়, এবং আজ ১৩ টি বছর স্বামীকে নিয়ে ভালই দিন কাটাচ্ছিলাম। আমাদের সংসারে দুইজন ছেলে সন্তাও রয়েছে।

আমার স্বামী ব্যবসা করেন, তাই আমার নাম দিয়ে এবং এলাকার একজন ব্যবসায়িকের চেক জমা দিয়ে তাকে কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে দিলাম, সে মাল আনবে বলে তার আগের সংসারের ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে যায়, আর পিরে আসেনি। এখন আমি কিস্তির টাকা দিতে পারছিনা, আমাকে টাকার জন্য অফিসারেরা বিভিন্ন প্রকারের চাপ দিচ্ছেন, আমার দুই সন্তান নিয়ে আমি এখন মানবেতর জীবনযাপন করতেছি। আমি তার সন্ধান চেয়ে কবিরহাট থানায় একটি জিডি করি। 

কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জয়নাল আবেধীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৯ জানুুয়ারী রিনা নামের মহিলাটি থানায় এসে তার স্বামীর সন্ধান চেয়ে একটা জিডি করেন, যার নাম্বার-৬৩৮। মহিলার দেওয়া স্বামীর মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাচ্ছি, এবং সে তার স্বামীর মোবাইলের কোন আইএমই নাম্বারও দিতে পারেনি, এমতাবস্থায় আমাদের কিছু করার নাই। তার পররেও আমরা জেলাতে কথা বলে যতটুকু করা যায় করার চেষ্টা করবো।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল