বুধবার, জানুয়ারী ২৬, ২০২২
ওয়াজেদুল হক, মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরে গত কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমনের হার বাড়ছে। সনাক্তের হার ৫০ শতাংশের উপরে। গেল মঙ্গলবার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিজেন টেস্টের জন্য ৩৪ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সনাক্ত হয়েছে ১৮ জন রোগী। জেলা
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থবিধি না মানা ও মাস্ক না পরার কারণে করোনা সংক্রমনের হার বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৬১ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০জন, গাংনী উপজেলায় ১০জন এবং মুজিবনগর উপজেলায় ১১জন রোগী রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৪ জন। গত তিন দিনে নতুন ভাবে ৪১ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬২ জন, ২য় ডোজ সম্পন্ন করেছেন লাখ ৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৫ ও বুস্টার ডোজ সম্পন্ন করেছে ৫ হাজার ১শ ৩৩জন।
এদিকে মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ জাওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ হুমাইরা। তারা বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অলোক কুমার দাস বলেন, যারা টিকা নিয়েছেন এবার তারাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা, মাস্ক পরছেননা, পরলেও নাকের নীচে পরছেন বা গলায় ঝুলিয়ে রাখছেন। তারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না মানুষ। ফলে দিন দিন আক্রান্তের হার বাড়ছে। হাসপাতালে যে ৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে তাদের মধ্যে ৩ জনের দুই ডোজের ভ্যাক্সিন নেওয়া আছে। তারা ডাইবেটিকস সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। তবে তাদের অবস্থা এখনও ভালো। আর একজন কোন ভ্যাকসিন নেননি। তবে যারা ডাবল ও বুস্টার ডোজের টিকা নিয়েছেন তারা আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে কম।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ৫০ টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও ৫ টি
আইসিইউ ও ৫ টি এইসডিইউ বেড রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান অক্সিজেন মজুদ রয়েছে। কারো অবস্থা খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হবার পরামর্শও দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। সাথে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাদের জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়াও জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে জেলার তিন উপজেলায় করোনা সতর্ক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।
এমআই