বুধবার, জানুয়ারী ২৬, ২০২২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে রেল বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় তীব্র অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ভুক্তভোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রেনে ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের তীব্র বিক্ষোভে ভারতের বিহার প্রদেশ এখন উত্তপ্ত। বৃহস্পতিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
জানা গেছে, ভারতের রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ২০১৯ সালের নন–টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরির গ্রুপ ডি পরীক্ষার ফল এখনো প্রকাশ না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার গয়া স্টেশনে একটি ট্রেন ভাঙচুর করে ইঞ্জিন ও কয়েকটি কামরায় আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিহারের আরা ও জেহানাবাদ স্টেশনেও। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একাধিক স্টেশনে। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা রেলওয়ের ট্রাক (পথ) অবরোধ করেছে, ট্রেনে পাথর ছুড়েছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।
ওই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তখন পুলিশ তাড়াতে ইট ছুড়ে বিক্ষোভকারীরা। গুরুতর আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ট্রেন লক্ষ্য করে ইট–পাথর ছুড়ছেন, ভেঙে দিচ্ছেন ট্রেনের জানালা। এরপরই দেখা যায়, বেশ কিছু বিক্ষোভকারী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছেন। ট্রেনে আগুন দেয়ার খবর পেয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও আরপিএফ।
চাকরিপ্রার্থীরা এর আগে তুমুল বিক্ষোভ দেখান পাটনার রাজেন্দ্রনগরে। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয় পড়ে দিল্লি–কলকাতা রেলপথ। একের পর এক ট্রেন বিক্ষোভের কারণে থমকে যায়। এ দিন ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালান সেখানে। সকাল থেকে অবরোধ চলে পাটনা–গয়া রেলপথে। অন্যদিকে, দমকল বাহিনীও ঘটনাস্থলে যায়। তারা জ্বলন্ত ট্রেনের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
ঘণ্টাখানেক ঝামেলার পর ক্রমশ থিতু হয় আন্দোলন। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে এ বিক্ষোভের কথা তুলে ধরে বিহার সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধি।
ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা ট্রেনে ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলে চাকরি না দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের অর্থনীতিতে চরম বেকারত্বের চাপ রয়েছে। ভারতীয় রেল নিয়োগ পরীক্ষায় কমপক্ষে এক কোটির বেশি ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন। অথচ, পদ খালি আছে মাত্র ৩৫ হাজার।
সূত্র : আল-জাজিরা, ভারতীয় গণমাধ্যম
সময় জার্নাল/এলআর