সময় জার্নাল প্রতিবেদক: গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার আইন বিল ২০২২' পাশ করা হয়েছে। যে আইনে বিগত দুটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়মুক্তির বিধান রেখে নির্বাচন কমিশন গঠনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মতামতের কোন সুযোগ না রেখে সরকারি দলের পছন্দমতো নির্বাচন কমিশন গঠনের নিমিত্তে এ আইনটি পাশ করা হয়েছে বলে গণঅধিকার পরিষদ মনে করে।
শনিবার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান সরকারের সময়কালে 'সার্চ কমিটি'র মাধ্যমে গঠিত বিগত দুটি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হওয়ার মাধ্যমে সুস্পষ্ট প্রমানিত হয়েছে যে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ঐক্যমত ব্যতীত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে তাতে জনমতের চাওয়া প্রতিফলিত হবে না। বরং বিগত বিতর্কিত দুটি কমিশনের মতোই হবে।
নতুন আইনটিতে সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মতামতের সুযোগ না রেখে শুধুমাত্র সরকারি দলের এবং তাদের নিয়োগকৃত কতিপয় ব্যক্তির মতামতের বিধান রাখা হয়েছে। যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না।
যা নির্বাচনী সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। এ ধরনের গণবিরোধী আইনকে গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত মনে করে গণঅধিকার পরিষদ। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক ঐক্যমতের উপর জোর দিতে সরকারকে গণঅধিকার পরিষদ আহ্বান জানায়।
ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অনস্বীকার্য।
তাই, দেশের চলমান রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সংকট নিরসনে গণঅধিকার পরিষদ রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার উদ্যেগ গ্রহণ ও সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের নিকট দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এসএ