লাইফস্টাইল ডেস্ক। এবার এল কোস্ক, এতে নাক থাকবে ঢাকা আর মুখ থাকবে খোলা। নিরাপদ মাস্ক কোনটি- এ বিতর্কের মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার 'কোস্ক' সবার নজরে। নিরাপদ কোনটি?
করোনার শুরু থেকেই কোন মাস্ক বেশি ভালো ও নিরাপদ? এ নিয়ে চলছে বিতর্ক। অথচ এখনো সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি। গত দুই বছর ধরেই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অসংখ্য পরীক্ষায়ও মেলেনি সঠিক জবাব। প্রশ্ন ছিল একটি- 'এন৯৫ নাকি সার্জিক্যাল মাস্ক? এখনো চলছে এ বিতর্ক।'
যদিও এ বিতর্কের মাঝে মানুষ বানিয়েছে সুতি কাপড়ের মাস্ক। উৎসব-উপলক্ষকে কেন্দ্র করে নানা রঙ ও বর্ণের মাস্ক।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী নজর কেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কোস্ক’। এ কোস্ক আবার কী?
কোস্কে শুধু নাক ঢাকা থাকে আর পুরো মুখ থাকে খোলা। দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষায় ‘কো’ মানে নাক। তাই ‘কো’ আর ‘মাস্ক’ মিলে হয়েছে ‘কোস্ক’। গোটা বিশ্বের নজরে এখন এই 'কোস্ক' নামক মাস্কের দিকেই।
'কোস্ক' নামক মাস্ক দক্ষিণ কোরিয়ায় জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কি?
সাধারণত মাস্ক পরে থাকলে খাওয়া যায় না। খাওয়ার সময়ে সেটি সরিয়ে নিতে হয়। কিন্তু কোস্কে সেই অসুবিধা নেই। তা পরেও স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যায়।
আবার মাস্ক যেমন খাওয়ার সময় পুরো খুলে ফেলতে হয়; তখন মানুষ স্বাস্থ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকে। আর কোস্ক ব্যবহারের ফলে খাওয়ার সময়েও কিছুটা সুরক্ষিত রাখা যায় নিজেকে। অন্তত এ সময়টিতে নাক দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করবে না শরীরে, সে বিষয়ে কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকা যায়।
আরও প্রশ্ন জেগেছে- কোস্ক কি আদৌ কোনো কাজে লাগে?
নেট জগতে 'কোস্ক' নামক মাস্ক পরা ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। কেউ এটি শুধুই ফ্যাশন বলছেন। কেউ বলছেন, নজর কাড়ার জন্য তৈরি হয়েছে এটি। এ মাস্ক পরলেও মুখ খোলা থাকছে, ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন অনেকে।
কোস্কের পক্ষে যুক্তি
অনেকেই আবার কোস্কের পক্ষ নিয়েছন। কারণ প্রয়োজনে কোস্ক নামক এ মাস্কের ভাঁজ খুলে মুখও ঢেকে নেওয়া যায়, তাই এ অভিনব ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, না হয় শুধু নাক-ই ঢাকল, খাওয়ার সময়ে বাড়তি সুরক্ষা তো পাওয়া যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা যা-ই হোক; তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই খুব কম সময়ের ব্যবধানে বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কোস্ক। এখন শুধু দেখার পালা...
সময় জার্নাল/আরইউ