নিজস্ব প্রতিবেদক: বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া জহুরা বেগম। নদীতে ভেঙেছে দুই বারের গড়া বসতি। শেষ আশ্রয়ে কোন রকম ঝুঁপড়ি ঘরেই চলছে জীবন। বৃদ্ধার এ অমানবিক জীবনযাপন নিজের ফেসবুক ওয়ালে তুলে ধরছিলেন তরুণ সাংবাদিক ও সমাজকর্মী জুনাইদ আল হাবিব। আর সে পোস্ট পেয়ে নদীভাঙা অসহায় বৃদ্ধার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরের ব্যবস্থা করেন কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)।
রোববার(৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চর লরেন্স উঁচু দিঘিপাড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে উপকারভোগী বৃদ্ধার মাঝে একটি ঘর হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বিজয়, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা(এসিল্যান্ড) পুদম পুষ্প চাকমা, সাংবাদিক জুনাইদ আল হাবিব, ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা, মো. ফজলুল কাদের চৌধুরী, মাহে আলম শামীম, মাহবুব আলম, তারেক আজিজ প্রমুখ।
ঘর পেয়েই খুশিতে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন জহুরা বেগম। অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার কেউ নাই। নদীতে দুই বার বাড়ি ভেঙেছে। আমি ভিক্ষা করি খাই। আপনারা আমার পাশে দাঁড়াইছেন, আমি অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।
সাংবাদিক জুনাইদ আল হাবিব বলছিলেন, স্থানীয় একজনের কাছে তথ্য পেয়েছি, বৃদ্ধা মহিলা ঝুপড়ি করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারপর আমি সেটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে তুলে ধরি। লেখালেখির পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এগিয়ে এসেছেন। ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। অবশেষে আজ ঘরটি বৃদ্ধার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বিজয় বলেন, 'ফেসবুকে সাংবাদিক জুনাইদ আল হাবিবের পোস্টটি আমার নজরে আসলে আমি নদীভাঙা অসহায় মহিলার জন্য ঘর দেয়ার উদ্যোগ নেই। মহিলার আসলে পরিবারের কেউ নেই। খুবই অসহায় বলা চলে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি উন্নতমানের বিভিন্ন সুবিধা সমৃদ্ধ ঘরের ব্যবস্থা করি।
এমআই