সময় জার্নাল ডেস্ক। ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে ওঠেছে উত্তরাঞ্চলের জনপদ। অসময়ের বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসের পর গতরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে রংপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলো। এই ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ আর গবাদি পশু। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। টিপ টিপ বৃষ্টির ন্যায় কুয়াশার পানিতে ভিজে আছে পথ ঘাট।
আবহাওয়া অফিস বলছে, রংপুর অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এটি আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকে রংপুর নগরীর তাজমহল পার্কের মোড় শাপলা চত্বর ও জাহাজ কোম্পানি মোড় ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র কুয়াশায় যেন একেবারে পথঘাট ফাঁকা। কয়েক গজ দূরের কিছু কুয়াশার কারণে দেখাই যায়না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষের গায়ে উঠছে কয়েক স্তরের গরম কাপড়।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬ টায় আবহাওয়া অফিসের পাওয়া তথ্যমতে, রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে কুয়াশা আর জেঁকে বসা হিমেল হাওয়ায় জবুথবু জনজীবন। এরপরও বসে নেই দিনমজুর ও কৃষক-শ্রমিকরা। জীবিকার তাগিদে মাঠে নেমেছেন তারা। এছাড়া ছিন্নমূল মানুষরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
নগরীর শাপলা এলাকায় রিকশা চালক মতিন মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি তীব্র কুয়াশায় কোন যাত্রী দেখছি না। গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেই শরীরের কাপড় চোপড় আর মাথার চুল ভিজে যাচ্ছে। গাড়ির প্যাডেল না চালাইলে সংসার চলে না তাই কষ্ট হলেও বের হয়েছি।
আশিক নামের আরেক যুবক বলেন, কোম্পানির একটি সাইটে কাজ করি তাই ঠাণ্ডার সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছি ভাই। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা বাতাসের পর আজকের কুয়াশার পরিমাণটা খুবই বেশি।
নগরী ছাড়াও শীতের প্রভাব জানতে উপজেলার দূরের জনপদে খবর নিয়ে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকেও ওইসব এলাকায় মধ্য রাতের মতো আবহাওয়া বিরাজ করছে। এই তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে শিশুসহ বয়স্করা। তিস্তার কোলঘেঁষা চরাঞ্চলের মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
আবহাওয়া অফিসে বিভাগীয় ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত চার দিনের বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসের পর রোববার রাত থেকে কুয়াশার পরিমাণ বাড়ছে উত্তরাঞ্চলে।
সময় জার্নাল/আরইউ