খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলছে জমজমাট
কোচং ব্যবসা।
গোপনে স্কুলে ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ করার অপরাধে কিশোরগঞ্জ পাবলিক স্কুলের জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ক্লাশ ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা রহমান ওই স্কুলে গিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে স্কুলে পায়। ভ্রাম্যমান আদালতের টিমকে দেখে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভয় না পাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে
বর্তমান করোনাকালীন সময় সম্পর্কে সচেতনতামুলক কথা বলেন সহকারী কমিশনার।
সরকারী নির্দেশনা ভেঙ্গে স্কুল পরিচালনা করার অপরাধে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে এবং তার কাছ থেকে লিখিত ভাবে মুচলেকা গ্রহন করা হয়। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস, কোচিং ও কোন ধরনের পরীক্ষা নেয়ার জন্য স্কুল প্রধানের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন নামে সরকারী ও বে-সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোচিং ব্যবসায় মেতে উঠেছে। কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে সামনের গেট বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে কোচিং ব্যবসা পরিচালনা করছে অনেক শিক্ষক। আবার অনেক কোচিং সেন্টার প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁকি দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে দু’জন লোককে বসিয়ে রাখা হয় কোচিং পরিচালনার সময় পর্যন্ত।
এদিকে কিন্ডার গার্টেন স্কুলের অনেক শিক্ষকের অভিযোগ স্কুল বন্ধ দিয়ে সরকার কি কোচিং পরিচালনা করার কোন অনুমতি দিয়েছে? স্কুলের চেয়ে কোচিং সেন্টারগুলোতে আরও বেশী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা রহমান বলেন, চলতি মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করছে সরকার।
সরকার ঘোষিত সময়ের পূর্বে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা কোচিং সেন্টারে ক্লাস পরিচালনা করা হলে তা আইনের আওতায় এনে শাস্তির
ব্যবস্থা করা হবে।
এমআই