ইসাহাক আলী, নাটোরঃ উত্তরা গণভবনের সুবর্ণ জয়ন্তী ৯ই ফেব্রুয়ারি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুবর্ণজয়ন্তী পালনে অনুষ্ঠান করার প্রস্তুুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ। এরইমধ্যে সাজ সজ্জার কাজ শেষ হয়েছে।
এছাড়া থাকবে সীমিত পরিসরে আনন্দ শোভাযাত্রা, কেককাটা, আগত পর্যটকদের ফুলদিয়ে বরণ ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে দর্শনের সুযোগও।
নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়িকে ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্তরা গণভবন ঘোষণা করেন। এছাড়া ওইদিনই নিজ হাতে প্রিয় ফুল হৈমন্তির গাছ রোপন করেন বঙ্গবন্ধু। সেই গাছে এখন ফুল শোভা ছড়াচ্ছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর এসব সফরে সফরসঙ্গী ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এই স্থানটি স্মৃতিময় স্থান। উত্তরা গণভবন যা ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র অফিস ও বাসভবন। চলতি মাসের ৯ তারিখে গণভবনের সুবর্ণ জয়ন্তী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এবং ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছিল উত্তরা গণভবনে। এরপর আর কোন বৈঠক এখানে হয়নি। ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই বাসভবনকে। গণভবনের সাজসজ্জা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানালেন, করোনার কারণে ছোট পরিসরে উত্তরা গণভবনে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। এখন সীমিত পরিসরে হলেও করোনার মহামারি কেটে গেলে মন্ত্রী পরিষদের একটি বৈঠকের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তখন আরো সাড়ম্বরে করা হবে অনুষ্ঠান।
এদিকে দিনটি পালন করতে কর্মসূচী নিয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদও। দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, এতে থাকছে শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠান। দিনটির আনন্দ বাড়াতে কাটা হবে সূবর্ণ জয়ন্তীর কেকও।
তবে নাটোর বাসীর দাবি এখানে দ্রুত মন্ত্রী পরিষদের সভা ও সাড়ম্বর আয়োজন। যাতে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে এর ইতিহাস ও এর নাম করনের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নাম।
এমআই