সময় জার্নাল ডেস্ক :
বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি ‘সোনালী কাবিন’ খ্যাত কালজয়ী কবি আল মাহমুদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সাহিত্যে নিজের অমরত্ব নিশ্চিত করে বসন্ত-ভালোবাসার আবেশ গায়ে মেখে তিনি ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীসহ কবির জন্মভিটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌড়াইলে সকালের দিকে স্মরণানুষ্ঠান ছাড়াও কবির কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন ও ফাতেহা পাঠ করা হবে।
আধুনিক বাংলা ভাষার প্রধানতম কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চাশের দশকে আবির্ভূত সাহিত্যের সব্যসাচী কবি আল মাহমুদ কবিতা ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, ছড়া, আত্মজীবনী ইত্যাদি। এ যাবৎ তার প্রকাশিত শতাধিক গ্রন্থ নিয়ে প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য মোট ১৩ খণ্ডে প্রকাশ করেছে ‘আল মাহমুদ রচনাবলি’।
১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয় আল মাহমুদের প্রথম কবিতার বই ‘লোক লোকান্তর’। এর তিন বছর পর ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয় তার আরো দুটি কবিতার বই ‘কালের কলস’ ও ‘সোনালী কাবিন’। এর মধ্যে ‘সোনালী কাবিন’ তাকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়। এ ছাড়া তার ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না’, ‘একচক্ষু হরিণ’, ‘মিথ্যাবাদী রাখাল’ ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ উল্লেখযোগ্য।
‘কাবিলের বোন’, ‘উপমহাদেশ’, ‘ডাহুকি’, ‘আগুনের মেয়ে’, ‘চতুরঙ্গ’ ও ‘পোড়ামাটির জোড়া হাঁস’ ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। ‘পানকৌড়ির রক্ত’সহ বেশ কিছু গল্পগ্রন্থও রচনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া ‘যেভাবে বেড়ে উঠ’ তার উল্লেখযোগ্য আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
সৃজনশীল সাহিত্য রচনার জন্য অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আল মাহমুদ। বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৮), জয়বাংলা পুরস্কার (১৯৭২), হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৪), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৬), একুশে পদক (১৯৮৭), নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৯০), সমান্তরাল (ভারত) কর্তৃক ভানুসিংহ সম্মাননা পদক (২০০৪) উল্লেখযোগ্য।
সময় জার্নাল/ইএইচ