বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি: হিজাব ইস্যুতে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের কর্নাটক রাজ্য। বুধবার কর্নাটক রাজ্যের একটি সরকারি কলেজে হিজাব পরেই ঢুকে পড়েন ছাত্রীরা। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে শুরু হয় প্রতিবাদ।
হিজাব ইস্যুতে ভারতীয় আদালতে মামলা চলছে। আপাতত ভারতের কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবসহ সকল ‘ধর্মীয়’ পোশাক পরে যাওয়া যাবে না বলে অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় হাইকোর্ট। এরপর বুধবার কর্নাটকের একটি সরকারি কলেজে শুরু হয় ‘হিজাব আন্দোলন।’ সকালে হিজাব ও বোরখা পরে উত্তর কর্নাটকের বিজয়পুরার পিইউ কলেজে উপস্থিত হন মুসলিম ছাত্রীরা। কিন্তু, তাদের ক্লাস করতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপরে শিক্ষক ও ছাত্রীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাদানুবাদের একাধিক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের যুক্তি, তারা কেবল আদালতের অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ পালন করছেন। অন্যদিকে, ওই ছাত্রীদের দাবি, তারা কী পোশাক পরবেন, তা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ ও অধিকারের বিষয়। তা ছাড়া তারা আগেও হিজাব ও বোরখা পরেই ক্লাস করেছেন। এ পোশাক যে পরে আসা যাবে না, এ বিষয়ে কলেজ কোনো নির্দেশিকাও দেয়নি।
এ হিজাব ইস্যুতে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সাথে বাক বিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রীরা। পরে শ্রেণীকক্ষের পাশে একটি জায়গায় তাদের বোরখা ও হিজাব খুলে আসার জন্য বলা হয়। ছাত্রীরা তাতে রাজি হননি। তার আগে কলেজের প্রবেশপথেই হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের আটকান অধ্যক্ষ। তবে তারা জোর করেই কলেজে ঢোকেন। পরে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় ওই ছাত্রীদের। তারপরেই পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করে। ছাত্রীরা স্লোগান দেন, ‘আমরা বিচার চাই’। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে ওই বিক্ষোভ।
সময় জার্নাল/এলআর