বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২
শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নে গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও ভাঙ্গন কবলিত রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর ফলে রাস্তায় চলাচলে উপকৃত হবে কয়েকহাজার জনগণের।
জানা গেছে, গত বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষা ও হঠাৎ করে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে যায় তিস্তা ব্যারেজের পাশের ফ্লাড বাইপাস সড়কটি। এর ফলে উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। প্রবল পানির স্রোতে ভেঙ্গে যায় গড্ডিমারী ইউনিয়নের অনেক রাস্তাঘাট। পানিতে ভেসে যায় পুকুর ও জলাশয়ের মাছ। পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমির আমন ধান, ভুট্টা, পিয়াজ, রসুন, মরিচসহ অসংখ্য ফসল।
এদিকে ঐ বন্যায় হাতীবান্ধা হতে গড্ডিমারী হয়ে বড়খাতা গামী বাইপাস সড়কটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। গড্ডিমারী ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী এলাকার অনে কাংশে ভেঙ্গে গিয়ে জনদুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার মানুষ।
ঐ এলাকার মালেক আমিনের বাড়ির সামনের রাস্তাটি ভেঙ্গে বিশাল জলাশয়ে সৃষ্টি হয়। ফলে জনসাধারণের চলাচলসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে চরম বিপাকে। নৌকায় করে জলাশয় পাড়াপাড়ের সময় শিক্ষার্থীসহ অনেকেই পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে জনদুর্ভোগে পড়ে ৬ টি ওয়ার্ডের জনগণ।
গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক শ্যামলের প্রচেষ্টা ও স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন এমপির সহযোগিতায় রাস্তাটি মেরামতের জন্য ১২ লক্ষ টাকা ইমার্জেন্সি বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সেই বরাদ্দ থেকে উক্ত রাস্তায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
ঐ জলাশয়ের পাশের বাসিন্দা আকবর আলী (৫০) জানান, বন্যায় রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে পানির স্রোত আমার বাড়ির আঙ্গিনা পর্যন্ত জলাশয়ে সৃষ্টি হয়। বাকি থাকার ঘর টুকু জলাশয়ে কখন যে ভেঙ্গে তলিয়ে যায় সেই ভয়ে রাতে দুচোখে ঘুম আসেনা।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক এলিজা বেগম, বন্যায় রাস্তা ভেঙ্গে এই জলাশয়টি তৈরী হবার ফলে গড্ডিমারী ইউনিয়নবাসী প্রতিনিয়ত রাস্তায় চলাচলের চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নৌকায় করে জলাশয় পারাপারের সময় স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীসহ অনেকেই পানিতে পড়েছিলো। ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল ও স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন এমপির সহযোগিতায় রাস্তাটি মেরামতের ফলে অত্র ইউনিয়নের কয়েকহাজার জনগণ উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।
গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল আক্ষেপ করে বলেন, গত বন্যায় আমার ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন দপ্তরে অনেক ছোটাছুটি করার পর স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন এমপির সহযোগিতায় এলজিইডির বরাদ্দ নিয়ে সেই রাস্তাঘাট মেরামতের সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এর বিরোধিতা করছে। স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন এমপির সহযোগিতায় গড্ডিমারী ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে আর আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
সময় জার্নাল/এলাআর