মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১৬৫৫ রোহিঙ্গা

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২
ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১৬৫৫ রোহিঙ্গা

মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি: একাদশ দফায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১ হাজার ৬৫৫ জন রোহিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)  দুপুর ২ টার দিকে নৌবাহিনীর ছয়টি টি জাহাজে করে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) মোয়াজ্জেম হোসেন । 

তিনি জানান, ১৬৫৫ রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পল্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানে তাদের প্রাথমিক পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে নির্ধারিত ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মোয়াজ্জেম হোসেন আরও জানান, ৮৫ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে বেড়াতে এসেছেন এবং ১৫৫ জন ভাসানচর থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন তারাও একই জাহাজে ফিরে এসেছেন। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল ২২ হাজার ৬০৪ জন।

এর আগে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন,  নবম দফায় ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন এবং দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১২৮৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।

এছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্টের পর মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখ হাতিয়ার কাছে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। সে লক্ষ্যে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী করে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। 

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল