গোলাম আজম খান, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মুদ্দাচ্ছির। সংবাদ সম্মেলনে মাজেদা বেগম, ইফতেখার মাহমুদ ও খালেদ সাঈফী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মুদাচ্ছির দাবি করে বলেন, কক্সবাজারের পোকখালীর আজিজ উদ্দীন, আশরাফ আলী, নুরুল কাদের ও নুরুল আমিনসহ একটি ভুমিদস্যু সিন্ডিকেট পোকখালী আজিজুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে আমার পৈতৃক সম্পত্তি ১২ শতক জমি দখল করে নেয়। আজিজ উদ্দীন উক্ত মাদ্রাসার পরিচালক হওয়ার সুবাদে কৌশলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জমি দখলে ব্যবহার করেছেন। পরে কোন উপায় না হয়ে আজিজ উদ্দীন, আশরাফ আলী, নুরুল কাদের ও নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে ঈদগাও থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাহায্য নিই। ওসি আদালত থেকে নিদের্শনা আনার পরামর্শ দিলে জমিটি রক্ষার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হই।
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করে সদর এসিল্যান্ড (ভূমি) কে জায়গার বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেন এবং অফিসার ইনচার্জ ঈদগাওঁ থানাকে বিরোধীয় জায়গার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
যথারীতি সদর এসিল্যান্ডের পক্ষে ঈদগাওঁ ভূমি অফিসের তহশীলদার আদালতের আদেশের অনুবলে বাদী বি-বাদীকে নোটিশের মাধ্যমে অবগত করেন এবং ঈদগাওঁ থানার অফিসার ইনচার্জের পক্ষে ওসি তদন্ত এস.আই শামীমুল ইসলাম সাহেব বিবাদীকে আদালতের নির্দেশনা নোটিশের মাধ্যমে অবগত করেন। পোকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আসামী আশরাফ আলীর কাছে নোটিশ জারী করেন এবং মৌখিক ভাবে জমিতে কোন ধরণে স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশ দেন। কিন্তু গত ২০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যবহার করে জমিটি দখলে নেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভী আজিজ উদ্দিন জানান, জমি দখলের প্রশ্নই ওঠে না। জমিটি মাদ্রাসার মালিকানাধীন। অভিযোগকারী হাফেজ মুদাচ্ছিরের পিতা অনেক আগেই জমিটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে করে জমির সত্ত্ব হারিয়েছেন তারা।
এমআই