সময় জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারভেনশনাল একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ২ দিনব্যাপী হৃদরোগ বিষয়ক আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ২০২২ আজ শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে। ধূমপান করা যাবে না, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ডায়েট কন্ট্রোল করা উচিত এবং জীবনে ডিসিপ্লিন থাকতে হবে। মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন। লবন ও চিনির ব্যবহার যথাযথ ও পরিমিত হতে হবে। যথাসম্ভব লবন ও চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যাবে।
উপাচার্য বলেন, দেশের হৃদরোগ চিকিৎসাসেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞের অভাব রয়েছে। এজন্য হৃদরোগ বিষয়ক কোর্সসমূহে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতে বিরাট অবদান রাখছে এবং এই কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকগণ দেশেই রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করায় দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে, একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসম মোস্তফা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি এর সম্মানিত অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডিওভাসকুলার বিশেষজ্ঞ ডা. রাজেশ এম ডেভ, এনআইসিভিডি এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল শফি মজুমদার, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ কার্ডিওভাসুকলার ইন্টারভেনশনের সভাপতি অধ্যাপক একেএম ফজলুর রহমান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসুকলালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে দেশের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকবৃন্দসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্যাকাল্টিগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রথম দিনে ১৭টি বৈজ্ঞানিক সেশন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি লাইভ ট্রান্সমিশন বিষয়ক উল্লেখযোগ্য একটি সেশনসহ ২ দিনে মোট ২৩টি সেশন এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর রাত ৮টায় স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাশাস্ত্রের মানন্নোয়নে অবদানের জন্য ১৩ জন কৃতি চিকিৎসককে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।
যেসকল গুণী শিক্ষক ও চিকিৎসককে সম্মাননা দেওয়া হবে সেই বরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন অধ্যাপক শেখ আলী আশরাফ, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, মাননীয় সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, ইউজিসির সম্মানিত অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, অধ্যাপক সিরাজুর রহমান খান, অধ্যাপক সুফিয়া রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক এম আমজাদ হোসেন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম।
এমআই