গোলাম আজম খান, কক্সবাজার। ‘মেরিন ভিলেজ পার্ক’ পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার কংক্রিটের শহরের বাহিরে পিএমখালীর শনখলায় বাকখালী নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠা একটি পার্ক। সম্পুর্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল (অতি শীতলও নয়, অতি উষ্ণও নয়)। অনেকেই একটুখানি স্বস্ত, তৃপ্তিরও প্রশান্তির ছায়া নেয়ার প্রত্যাশায় ভ্রমণের আসছেন। শহরের প্রবেশপথ লিংক রোড চান্দের পাড়া হয়ে বাকখালী নদী পার হয়ে পিএমখালীর শনখলা গ্রামে অবস্থিত "মেরিন ভিলেজ পার্ক"। সম্পুর্ন কোলাহল মুক্ত নিরিবিলি গ্রামীন পরিবেশে সবুজের সমারোহ সবধরনের সুযোগ সুবিধা সংবলিত একটি পিকনিক স্পট এই পার্ক।
প্রাকৃতিক পরিবেশের অত্যন্ত সুন্দর পারফেক্ট স্পট।
প্রকৃতিপ্রেমী মেরিন সিটি (প্রাইভেট) লিমিটেড চেয়ারম্যান এএমজি ফেরদৌসের প্রয়াসে নিজস্ব ৬০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে ভিন্ন আঙ্গিকে "পিকনিক স্পট"। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা শনখলায় মেরিন ভিলেজ পার্ক নামে পরিকল্পিত পিকনিক স্পট ও শিশু পার্কটি সাজানো হয়েছে মনের মাধুরী দিয়ে। যা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। প্রায় ৬০ একর জমির উপর গড়ে ওঠা বাকখালী নদীর আঁকাবাকা তীরে বিশাল লেক ঘেরায় শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি হাজারও বৃক্ষ।
এই বিনোদন কেন্দ্রটি সারাক্ষণ নানা জাতের পাখির কোলাহলে মুখরিত থাকে। এর গাছে গাছে দেখা যায় নানান প্রজাতির পাখি। সন্ধ্যা হলেই তারা তাদের নীড়ে ফিরার সময় কিচিরমিচির শব্দ শুনা যায়। নয়নাভিরাম দৃশ্যে দর্শনার্থীরা গাছের ছায়ায় সারাটা দিন ঘুরে বেড়াতে পারেন।
‘কচিকাঁচাদের বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস’
ছোট ছোট কচিকাঁচা ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) শহরের প্রবেশপথ লিংক রোডে "বীচ পাবলিক স্কুল" ও "আলহাজ্ব ফাতেমা ফেরদৌস উচ্চ বিদ্যালয়" কর্তৃপক্ষ একটি পিকনিকের আয়োজন করল। ঋতুরাজ বসন্তের (নাতিশীতোষ্ণ) শুরুতে "মেরিন ভিলেজ পার্ক" কচিকাঁচদের সাথে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটিয়েছি আমরা। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের এটা সত্যিই ভালো পদক্ষেপ। আমরা কোন দিন বিদ্যালয়ের শিশুদের সাথে মেশার সময় পাইনি। আজকে সত্যি সত্যিই শিশুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা মারতে পারায় খুব আনন্দ পেয়েছি।
এদিন ছিল না বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে কোন বই-এর ব্যাগ, ছিল না মাষ্টারমশাইদের কাছে বকুনি খাওয়ার ভয়। কচিকাঁচাদের কাছে ছিল কেবল বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস ও আনন্দ। তাই সকাল থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই নিজেদের পছন্দের পোশাক পড়ে মনের মতো সাজিয়ে পিকনিকে উপস্থিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিতা শিক্ষানুরাগী এএমজি ফেরদৌসকে দেখা যায় নিজেই ব্যস্ত হয়ে পরেন রান্নার কাজে। ব্যস্ত তো স্বাভাবিকভাবে তাকে হতেই হবে, কারন আজকে প্রায় ৪'শ ছাত্রছাত্রী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও অভিভাবক মিলে প্রায় ৫'শ মানুষের খাবারের আয়োজন। খাবা মেনু'তে ছিল গরুর মাংস, মুরগী মাংস,মাছ, চাটনি।
আবার কখনো তিনি অতিথি আপ্যায়ন থেকে, স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সবাই ঠিকঠাক মত আনন্দ করতে পারছে কিনা সে ব্যাপারে দেখভাল করার।
অন্যদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী আকবর ব্যস্ত ছিলেন কখনো ছাত্র ছাত্রীদের একত্রিত করে বিভিন্ন খেলা সংস্কৃতির অনুষ্ঠান মালা নিয়ে।
তিনি জানান, এই ধরনের পিকনিকের আয়োজন তারা প্রত্যেক বছরই করে থাকেন। তাদের খুব বেশি উৎসাহ দেয়। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা সবাই মিলে একসাথে মিলে এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়। এই পিকনিককে কেন্দ্র করে বিপুল উৎসাহ থাকে স্কুলের কচিকাঁচা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে।
আজকের এই অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছিল স্কুল ছাত্রের মধ্যে স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে যেমন তেমনি তাদের অভিভাবকদের মধ্যে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারী
বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা যেভাবে যত্ন সহকারে বনভোজনের আয়োজন করেছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে।
সময় জার্নাল/আরইউ