শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
করোনা টিকা গ্রহনকারী তরুনদের বাড়ি থেকে নিয়ে গ্রামপুলিশ দিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে পাঠালেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) শেষ দিনে বাদ পড়া তরুনদের নিজ খরচে কেন্দ্রে পাঠান লালমনিরহাটের ডাউয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।
জানা গেছে, করোনা টিকার প্রথম ডোজের শেষ দিনে জেলার প্রতিটি কেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভির। ভির সামলাতে প্রতিটি কেন্দ্রে গ্রাম পুলিশের পাশা পাশি আনসার ও পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করেন। ১২-১৮ বছর বয়সী কিছু তরুন যুবক অহেতুক ভয়ে টিকা গ্রহন করেনি। এমন তরুন যুবকদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গ্রাম পুলিশ দিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান। ইউপি মাঠে গণটিকা প্রদান করা হলেও ১২-১৮ বছর বয়সীদের জন্য উপজেলা সদরে টিকাদান ক্যাম্প করা হয়। দুরে ক্যাম্প হওয়ায় অনেকেই অনিহা প্রকাশ করে।
তাই ১২-১৮ বছর বয়সী তরুন যুবকদের অটোযোগে গ্রাম পুলিশ দিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ডাউয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান। ব্যাক্তিগত খরচে ১৫টি অটোরিক্সা রিজার্ভ করে এসব তরুনদের কেন্দ্রে পরিবহনের ব্যবস্থা করেন।
ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আজহার আলী আতিক বলেন, গণটিকা ইউপি চত্ত্বরে দেয়া হলেও ১২-১৮ বছর বয়সীদের কেন্দ্র উপজেলা সদরে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা সদর অনেক দুরে। তাই অনেকে অনিহা করে টিকা গ্রহন করেনি। এসব তরুন যুবকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামপুলিশরা গাড়িতে তুলে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যান। টিকা গ্রহন শেষে পুনরায় বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়েছে। পরিবহন খরচ চেয়ারম্যান নিজে বহন করেছেন।
ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, এ ইউনিয়নটি তিস্তা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। এখানে গরিব ও ছিন্নমুল মানুষের সংখ্যা বেশি। অর্থের অভাবে টিকা বঞ্চিত হতে পারে না। তাই দুরের ক্যাম্পে যাতায়তের জন্য কয়েকটি অটোরিক্সা রিজার্ভ করেছি। গ্রামপুলিশরা তাদের কেন্দ্রে নিয়ে টিকা প্রদান করে পুনরায় বাড়িতে পৌছে দিয়েছে। এলাকার মানুষদের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ভাল লাগে। তাই এ উদ্যোগ।