সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সয়াবিন তেলের অতিরিক্ত দাম রাখায় একটি ডিলারের দোকান সিলগালা করা হয়েছে। আবুল খায়ের ট্রেডার্স নামের ওই দোকানে থাকা ৬০ ব্যারেল ভোজ্যতেল জব্দ করে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথভাবে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এ তথ্য জানান।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘সরকার মিলমালিকসহ সবার সঙ্গে বসে সয়াবিনের প্রতি লিটারের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করলেও ওই ডিলার আরও ৩০ টাকা বেশি, মানে ১৭৩ টাকা রাখে, যা অসহনীয়। সেজন্য ৬০ ব্যারেল জব্দ করে দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে আমরা ক্রেতা সেজে তেল কিনতে গেলে ১৭৬ টাকা কেজিপ্রতি দাম চাওয়া হয়। পরে দর কষাকষি করে ১৭৩ টাকায় দিতে রাজি হয়। আমরা হাতে হাতে প্রমাণ পেয়ে যাই। এভাবে যে কেউ বিক্রি করতে থাকলে তার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।’
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার আরও বলেন, ‘দেশে সয়াবিন ও পামওয়েল তেল বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই সবাই কেনে। প্রতিবছর আমরা খুচরা পর্যায়ে দেখি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা এবার সাপ্লাই চেইনের ওপরের পর্যায়ে কাজ করছি। অসাধু চক্রের কারসাজির পরিপ্রেক্ষিতে তেলের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা তথ্য নিচ্ছি। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আমরা তা পাব। অসাধুতা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, এ ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে জিরো টলারেন্স।’
অভিযানের সময় আবুল খায়ের ট্রেডার্সে থাকা রিয়াদ বলেন, ‘প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭১ টাকা ৮০ পয়সা আমাদের কেনা পড়েছে। আমরা এক থেকে দুই টাকা বেশিতে খুচরা বিক্রি করছি।’
রিয়াদ জানান, তাঁরা মৌলভীবাজারের তিন-চার পার্টির কাছ থেকে বেশি দামে তেল আনেন। যাদের কাছ থেকে তেলে কেনেন, তারা বিক্রির রসিদ দেন না। তারা বলেন, ‘তোমাদের মালের দরকার হলে মাল নাও, রশিদ দিয়া কি করবা। তাঁরা হাজার হাজার গাড়ি বিক্রি করে। আমরা এক-দুই গাড়ি না আনলে তাদের কিছু যায়–আসে না। এ জন্য আমাদের মাল বাধ্য হয়ে আনতে হয়।
সময় জার্নাল/ইএইচ