জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বর্তমান বাজারে অন্য জিনিসের দামের সাথে পাল্লা দিয়ে এখন গো-খাদ্যের দামও অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ কৃষকসহ গরুর খামারিরা তাদের পশু নিয়ে মহাসংকটে আছে। খৈল, ভুষি, খড়সহ গো-খাদ্যের অন্যান্য দ্রব্যের বাজার মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধিতে তা সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তাই কৃষক এখন এসব খাদ্যের বিকল্প হিসেবে গম, ভুট্টা ও সরিষা ক্ষেত থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করছেন গবাদি পশুর জন্য।
এমনই একটি দৃশ্য চোখে পড়ে সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের এক সরিষা ক্ষেতে। দেখা যায় একদল কৃষাণী বাড়িতে পালিত গবাদি পশুর জন্য সরিষা ক্ষেত থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করছে।
কথা হয় কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করাতে আসা সেলিনা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, তার বাড়িতে দুই টা গরু ও একটা ছাগল আছে। তিনি অন্যের কাছ থেকে পাঁচ পন খড় কিনেছিলেন ৮০০ টাকায়। বর্তমানে সেই খড়ের বাজার মূল্য প্রতি মন ৩০০/৩৫০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। তাই তিনি বিকল্প খাদ্য হিসেবে প্রতিদিন সকালে তার পশুর জন্য সরিষা, গম, ও ভুট্টা ক্ষেত থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করেন।
একই কথা বলে নুরজাহান ও মনোয়ারা বেগম। তারা বলেন, মানুষের খাবারের পাশাপাশি গরু ছাগলের খাবারেও দাম বাড়ছে। আমরা গবাদি পশু পালন করে বছর শেষে কিছু টাকা আয় করি। গো-খাদ্যের মূল্য বর্তমানে এতটাই চড়া যে এগুলো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এক পন (৮০) খড় ৩০০/৩৫০টাকায় কিনতে হয়। খাদ্য সংকটের কারণে গাভীও কম দুধ দিচ্ছে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: শাহারিয়ার মান্নান বলেন, বাজারে গো-খাদ্যের দাম একটু বেশি। তাই গবাদি পশু পালনকারী ও খামারিদের দানাদার খাবারের উপর চাপ কমিয়ে ঘাস উৎপাদনের দিকে মনোযোগ বাড়ানো উচিত। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন তিনি।
এমআই