জুনাইদ আল হাবিব: ভাষা আন্দোলনের ৭০বছরে তরুণদের উপস্থাপন ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়নে ১০১জনকে ৬লাখ টাকার স্কলারশিপ দিচ্ছে মানসিক উন্নয়ন সংঘ মাইন্ডভানা একাডেমি। সোমবার (৭মার্চ) রাতে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বিশেষ 'মেন্টরিং স্কলারশিপ প্রোগ্রাম' সত্তর এ ৭০ এর উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব ও কার্যক্রমের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ও ইমপ্লিমেন্টেশন এক্সপার্ট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
এ সময় বিশেষ এ স্কলারশিপের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের বাংলা বিভাগের প্রধান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, আবৃত্তিশিল্পী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সিনিয়র ব্রডকাস্টার, সাবেক ব্যাংকার ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য সালাহুদ দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিইউডাব্লিউবি'র জেন্ডার এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ নিলুফার করিম, সোসাইটি ফর লিডারশিপ স্কিলস ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরী।
প্রধান আলোচক ছিলেন জন ম্যাক্সওয়েল অ্যান্ড ব্রেইন স্ট্রেসি সার্টিফাইড এক্সিকিউটিভ লিডারশিপ কোচ ও স্পিকার, আমেরিকার এক্সিকিউডেমি কানেক্টিভিটের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আকবর হোসেন।
এসএ টেলিভিশনের সিনিয়র ব্রডকাস্টার ও মাইন্ডভানা একাডেমির ভাইস প্রেসিডেন্ট আশফাকুর রহমান আদনানের সঞ্চালনায় এ স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাইন্ডভানা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা জিএম ইফতেখার ইফতি, মাইন্ডভানা একাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান দীপিকা আরেফিন।
এ সময় কানাডা থেকে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন স্মার্টিফায়ার একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোহান হায়দার, মাইন্ডভানা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান মিস নাতাশা কাদের।
বিশেষ অতিথি শিল্পী হিসেবে যুক্ত হন মিরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার -১০ম পর্বের পারফর্মার আফনান আহমেদ রাশেদ।
এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রশিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আলোচকরা বলেন, উপস্থাপনা ও কথা বলার দক্ষতা মানুষের সারাজীবনই কাজে লাগে। নিজকে প্রকাশ করা বা নিজকে ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে ভাষায় দক্ষ হতে হবে। কোথাও চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ দিতে গেলেও নিজকে সুন্দর করে উপস্থাপন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সবচে সুন্দর করে কথা যে বলতে সবার কাছে জনপ্রিয়। সেজন্য এমন কোর্সের গুরুত্ব অপরিসীম।
আয়োজকরা জানান, ভাষা আন্দোলনের ৭০বছরে ৭০জনকে এ বিশেষ স্কলারশিপ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেল এত বেশি আবেদন পড়েছে যে আমাদের সংখ্যাটা বাড়াতে হয়েছে। দুই মাসব্যাপী ১০১জন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ কোর্সটি করতে পারবেন।