মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

৩ দাবিতে সাত কলেজের দর্শনের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২
৩ দাবিতে সাত কলেজের দর্শনের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

মো. মাইদুল ইসলাম: পরীক্ষার প্যার্টান পরিবর্তন, অকৃতকার্যদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করা সহ তিন দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের দর্শন বিভাগের ১৭-১৮, ১৮-১৯ ও ১৯-২০ তিন সেশনের শিক্ষার্থীরা।

৯ মার্চ পর্যন্ত সশরীরে, অনলাইনে কোন ধরণের ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেনা বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্যান্য বিভাগে ৮০ নম্বরে লিখিত পরিক্ষা হয় সেখানে দর্শন বিভাগে ১০০ নম্বরে পরিক্ষা হয়। আর ইনকোর্সের নম্বর প্রতি ইয়ারে যোগ হয় না। যার ফলে ফলাফলে বিপর্যয় ঘটে।

অন্য বিভাগগুলোর চেয়ে ফলাফল নিম্ন মানের হয় ফলে বৈষম্যের শিকার শত শত শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে। দেখা যায় একই কলেজে অন্য বিভাগে যেখানে বেশীরভাগ শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন  সিজিপিএ ৩ এর বেশি পায় আর দর্শন বিভাগে সিজিপিএ ৩  তুলতে পারে না শিক্ষার্থীরা। ফেল করা বিষয় গুলো চ্যালেঞ্জ করলে প্রতিবছর এর ফলাফল কোন পরিবর্তন হয় না, চ্যালেঞ্জ করতে গেলে টাকা লাগে ফেল করা প্রত্যেক সাবজেক্টের জন্য, আবার ইম্প্রুভ দিতে গেলেও টাকা লাগে প্রতি সাবজেক্টের জন্য।

তাই ৭ কলেজের দর্শন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। শিক্ষকদের জানানো হয়েছে, তারা বলেছেন ৯ তারিখে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি তুলে ধরা হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেছেন তাদের দাবি পূরণ না হলে ৯ তারিখের পর কঠোর আনন্দলনের ডাক দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে সরকারি তিতুমীর কলেজেের দর্শন বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাগর মাহমুদ বলেন, ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে দর্শন বিভাগের ফলাফল খুবই নিম্নমানের, পরিক্ষার খাতা সঠিক মূল্যায়ন না হওয়া, গণহারে ফেল দর্শন বিভাগের নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এসকল সমস্যা সমাধানে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করলাম।

শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ:

১. পরীক্ষার প্রশ্ন প্যাটার্ন পরিবর্তন করতে হবে। (লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বরের নিতে হবে এবং ২০ নম্বর ইনকোর্স, ক্লাস উপস্থিতি, ভাইবা থেকে নিতে হবে)

২. পরীক্ষার খাতার পুুনঃ মূল্যায়ণ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অকৃতকার্যদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করতে হবে।

৩. পরীক্ষার খাতার সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে গণহারে ফেলের স্থায়ী সমাধান করতে হবে।


শিক্ষার্থীদের সমস্যা উত্তরণের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক নাছিমা আক্তার চৌধুরী বলেন, সাত কলেজের বিভাগীয় প্রধানেরা মিটিংয়ে বসবো কালকে। যেহেতু একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে সেই সমস্যার গঠনমূলক সমাধানের চেষ্টা সবাই করছে।   শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয়ে আমাদের অনেক কষ্ট দেয়। অনেক গুলো কারণেই আসলে ফলাফল বিপর্যয় হয়। আমরা কালকে মিটিংয়ে বসবো আমরা আশাবাদী ইতিবাচক কোনো ফলাফল পাবো।

উল্লেখ্য, দর্শন বিভাগের ২০২০ সনে বিভিন্ন বর্ষে রেজাল্ট ধস দেখা গেছে।

তৃতীয় বর্ষ সেশন ২০১৭-১৮
মোট পরীক্ষার্থীঃ ৩৮২জন

 অনুপস্থিত  : ৬ জন 

উপস্থিত      : ৩৭৬ জন 
প্রমোটেড /পাশ : ১৯৯ জন

অকৃতকার্য /ফেল: ১৭৭ জন

পাশের হার:৫২.৯৩%

দ্বিতীয় বর্ষ সেশন ২০১৮-১৯ (দর্শন বিভাগ)

মোট পরীক্ষার্থী : ৫৫১+২৫১(মানোন্নয়ন সহ)
উপস্থিত ৫৩৮ জন

প্রমোটেড /পাশ : ২৬২ জন

অকৃতকার্য /ফেল: ২৭৬ জন

পাশের হার: ৪৮.৭০%

প্রথম বর্ষ সেশন ২০১৯-২০(দর্শন বিভাগ)

মোট পরীক্ষার্থী :৮৫৫ জন

প্রমোটেড/পাশ : ১৯২ জন

অকৃতকার্য /ফেল: ৬৬৩ জন

পাশের হার ২২.৪৫%।

সময় জার্নাল/এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল