সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
বড়রা যেমন কিডনী রোগে আক্রান্ত হয় তেমনি শিশুরাও কিডনী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হয়ে মোকাবিলা করতে হবে। বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে ‘সুস্থ কিডনী সবার জন্য জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয় এবং সি ব্লকে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সেখানে রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. কে বি এম হাদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে শহীদ ডা. মিলন হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ, অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ, অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বটতলা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টায় কিডনী ‘চিকিৎসায় প্রয়োজন জ্ঞানের সেতু বন্ধন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। পরে অত্র এ ব্লক অডিটোরিয়ায়ে জনসেচতনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ। সভাপতিত্ব করেন পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. রণজিত রঞ্জন রায়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. গোলাম মাঈন উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন খান, অধ্যাপক ডা. শিরিন আফরোজ, ডা. তাহমিনা জেসমিন, ডা. সৈয়দ সাইমুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কিডনী মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর মাধ্যমে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা পায়। ভারসাম্যপূর্ণ সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত ব্যায়াম, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ ইত্যাদির মাধ্যমে কিডনীকে সুস্থ রাখা সম্ভব।
তিনি বলেন, কিডনীর সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেন বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, গুরুত্বপূর্ণ সরকার মেডিক্যাল কলেজসহ দেশের বিভাগ ও জেলা পর্যায়েও এই রোগের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তবে আমরা যাতে কিডনী রোগে আক্রান্ত না হই সে জন্যই সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সময় জার্নাল/ইএইচ