দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ রাসেল কলেজের প্রধান প্রবেশ পথে স্থায়ী ভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে এলাকার সাধারণ জনগণ ও কৃষকদের বড় ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এলাকার জনগণ। কলেজের ভিতর মাঠ দিয়ে কয়েক গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
গত ৭ ই মার্চ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রনোদা প্রসাদ মন্ডল প্রবেশে পথটি স্থায়ী ভাবে বাঁশ দিয়ে আটকিয়ে দেয়। যার কারনে কলেজের ভিতরে বসবাস করা সাধারণ জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়িতে নিতে হলে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়।
এলাকার সাধারণ জনগণের কাছ থেকে জানা যায়, শেখ রাসেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৫ সালে আর এখানকার বাড়িঘর করে বসতী গড়ে উঠছে ৫শত বছর পূর্বে। এ এলাকার সাধারণ জনগণের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজ। কলেজের ভিতর দিয়ে হিজলবাড়ি ,কলাবাড়ি , তেঁতুল বাড়ী, মাছপাড়া, বুরুয়া গ্রামের অধিকাংশ লোকজন চলাচল করে। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় তাদের কলেজের ভিতর মাঠ দিয়ে চলাচল করতে হয়।
এছাড়াও কলেজ সীমানায় তিনটি বসত বাড়ি রয়েছে। তাদের চলাচল করতে হয় কলেজের প্রবেশ পথ দিয়ে। তাদের কৃষিজ পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসপত্র বাড়িতে আনা নেওয়া করে এই পথ দিয়ে। এ পথ ছাড়া কলেজের পূর্ব পাশ দিয়ে অন্য একটা প্রবেশ পথ রয়েছে। যেটা দিয়ে কোন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য আনা নেওয়া যায় না।
তারা বলেন, কলেজের প্রবেশ পথে যদি লোহার গেইট তৈরি করে দেয়া হয় তাহলে ভিতরে থাকা লোকজনের সুবিধা মতো তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়িতে পৌঁছাতে পারে। আবার কলেজের সুবিধা মত আটকে রাখতে পারে এতো কোনো সমস্যা হয় না কলেজ কতৃপক্ষের।
এ বিষয়ে কলেজ সিমানায় বসবাসরত সুশান্ত বর্ণিক বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের প্রবেশপথ আটকাতে পারে। তবে সেখানে একটা লোহার গেট করা থাকলে আমরা যারা কলেজ এরিয়া ভিতর বসবাস করি। আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়। ভ্যান অথবা ইজিবাইক যোগে আমাদের বড়িতে কোনো মালামাল পৌঁছতে হলে ওই প্রবেশপথ ছাড়া অন্য উপায় নেই। আর একটা উপায় আছে সেইটা প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তারপর জিনিস পত্র বাড়িতে পৌঁছানো সম্ভব।
এছাড়া আমাদের পাশেই ইউনিয়ন পরিষদ ও একটা মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরে প্রর্থনা ও ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের চার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হয়ে। এই গেইটি খোলা থাকলে এক মিনিটেরও কম সময় লাগতো।
এ ব্যপারে কলেজে অধ্যক্ষ বলেন, কলেজের ভিতর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করে। সেদিন একটি মোটরসাইকেল আমাদের এক শিক্ষককের সাথে এক্সিডেন্ট করে। পরে কোটালিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে বাশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে ওখানে মানুষের চলাচলের জন্য পথ রাখা হয়েছে।
কোটালিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমি শুনেছি এবং অধ্যক্ষকে বলেছি বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় গেইট খুলে দিতে। বিকল্প রাস্তা না করে আমি গেইট আটকাতে বলতে পারবো না। আমি ইতিপূর্বে গেইট খুলে দিতে বলেছি।
সময় জার্নাল/ইএইচ