আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খাবার ও ভোজ্যপণ্যের দাম একলাফে ৮ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রাথমিক মূল্যায়নে এফএও বলেছে,দীর্র্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলতে থাকার আশঙ্কার মধ্যে ইউক্রেইন শস্য উৎপাদন করতে পারবে কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। তাছাড়া, রাশিয়ার খাদ্য রপ্তানি ঘিরেও অনিশ্চয়তা আছে।
এফএও’র এর মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ইউক্রেইনে শীতকালে সচরাচর উৎপাদন হওয়া ২০ থেকে ৩০ শতাংশ খাদ্যশস্য সিরিয়াল, ভুট্টা এবং সূর্যমুখীর বীজ ২০২২/২৩ মৌসুমে উৎপাদন হবে না।
জাতিসংঘ সংস্থাটির হিসাবমতে, রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম রপ্তানিকারক দেশ। আর ইউক্রেইন এদিক থেকে পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। দুই দেশ মিলে বিশ্বে ১৯ শতাংশ যব, ১৪ শতাংশ গম এবং ৪ শতাংশ ভুট্টা সরবরাহ করে।
সব মিলে দেশ দুটি বিশ্বে এক-তৃতীয়াংশের বেশি সিরিয়াল রপ্তানি করে। রাশিয়া আবার বিশ্বে সার রপ্তানিতেও উল্লেখযোগ্য অবস্থানে আছে।
এফএও’র মহাসচিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বিশ্বে প্রধান খাদ্যশস্য রপ্তানি করা দুই মুখ্য দেশের কৃষিকাজ যুদ্ধের কারণে বিঘ্নিত হলে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে।”
এফএও বলছে, বিশ্বের বহু সল্পন্নোত দেশসহ ৫০ টি দেশ রাশিয়া এবং ইউক্রেইনের গম সরবরাহের ওপর ৩০ শতাংশ কিংবা তার বেশি নির্ভরশীল হওয়ায় বিশেষত, তারাই ঝুঁকির মুখে আছে।
খাদ্যশস্য সরবরাহ বিঘ্নিত হলে খাবার এবং ভোজ্যপণ্যের দাম ৮ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
তাছাড়া, কেবল খাবারের দামই নয়, ২০২২/২৩ সালের মধ্যে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যাও ৮ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ পর্যন্ত বাড়তে পারে, বলছে এফএও।
অপুষ্টির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল, সাব-সাহারা আফ্রিকা, প্রাচ্যের দেশগুলোতে এবং উত্তর আফ্রিকায়।
সময় জার্নাল/ইএইচ