এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী অগ্রণী ব্যাংক থেকে গ্রাহকের গুনে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার দেড় মাস পর চোর মো. মাইনউদ্দিনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার ভোর রাতে মাইনউদ্দিনকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট পৌরসভার শারমঙ্গল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের আমানউদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
থান সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের বাগুয়ান গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার স্ত্রী রাশিদা বেগম অগ্রণী ব্যাংক বোয়ালমারী শাখার একাউন্ট থেকে এক লাখ টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলন করার সময় তার পাশে থাকা এক অপরিচিত লোক টাকা গুনে দেওয়ার সময় একটি ছেঁড়া ৫০০ টাকার নোট দিয়ে ক্যাশ কাউন্টার থেকে পাল্টিয়ে আনতে ওই গ্রাহককে বলেন। গ্রাহক রাশিদা ৫০০ টাকার নোটকি পরিবর্তন করে এসে দেখেন টাকাসহ অজ্ঞাত চোর পালিয়েছেন।
এ সময় চোর একটি বাটন মোবাইল ফেলে রেখে যায়। কোন উপায়ন্তুর না পেয়ে চোরের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন এবং ব্যাংকের সিসি টিভির ফুটেজ নিয়ে ভুক্তভোগি গ্রাহক বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তারপর পুলিশ ব্যাংকের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে পরেরদিন গত ২৪ জানুয়ারি ৪০৬, ৪২০ ধারায় থানায় অজ্ঞাতনামা মামলা নথিভুক্ত করেন। মামলা নম্বর ১৪। চোর ধরতে এরপর শুরু হয় বোয়ালমারী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান। সিসি টিভির ফুটেজ ও চোরের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত সোমবার ভোরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট পৌরসভার শারমঙ্গল গ্রাম থেকে মাইনউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম জানান, ব্যাংক থেকে গ্রাহকের টাকা চুরি করে নেওয়ার ঘটনায় চোর মাইনদ্দিনকে মাদারীপুর জেলার শারমঙ্গল গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাইনদ্দিন পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রাহক আদালতে আবেদন করলে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে টাকা হস্তান্তর করা হবে।
এমআই