নোয়াখালী -৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরমুল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমি কাদের সাহেবকে সম্মান করে একটা কথা বলতে চাই, এখনো লাগাম ধরেন, আওয়ামী লীগ, নোয়াখালীকে বাঁচান। সবার আঙ্গুল কিন্তু আপনার দিকে। আমি আপনাকে বলি, কাদের ভাই- বাবার পরে আপনাকে স্থান দিয়েছিলাম। এখনো ধরে রাখার চেষ্টা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে একরামুল করিম চৌধুরী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান শেষে র্যালি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
একরাম চৌধুরী বলেন, মীর্জা কাদের কার নির্দেশে আমি জানিনা, নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে দ্বিখন্ডিত করতে চেয়েছিলো কিন্তু নোয়াখালীর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের এরা কিন্তু দ্বিখন্ডিত হতে দেয় নাই। অনেকেই মনে করেছে আমি এমপি, আমি হয়তো ত্যাড়ামি করবো। পারিনা আমি আমার দলের বিরুদ্ধে ত্যাড়ামি করতে। এটা আমার দ্বারা সম্ভব না।
এসময় তিনি বলেন, আগামি ২৩ তারিখ আওয়ামী লীগের সম্মেলন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে চায় আমি সভাপতি পদে দাড়াতে চাই। আরেকটা কথা বলি যারা বর্তমান আহবায়ক কমিটিতে আছেন, যারা টাকার বিনিময়ে নির্বাচনে প্রর্থীতা দিয়েছিলেন তাদের কোনো ক্ষমা নাই। আর যারা আওয়ামী লীগকে কটুক্তি করছেন, আমাকে বলা- আমি আওয়ামী লীগের পার্লামেন্ট মেম্বার, আমার বিরুদ্ধে বলা আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বলা এক কথা।
তিনি বলেন, আপনারা যারা টেন্ডারবাজী, ওই বাজী থেকে সুবিধা নিতে চান, করেন কিন্ত সাধারণ পাবলিকদের নিয়ে করেন, আমার সাধারণ কর্মীদের নিয়েও করেন। শুধু আপনারা খাবেন, আমার কর্মীরা খাবেনা তা হবেনা- তা হবেনা। অমি কিন্তু ঘুরে দাড়িয়েছি, আমি গত এক বছরের একরাম চৌধুরী না। আমি মৃত্যুর মুখ থেকে এসেছি, এখন মরতে হলে কর্মীদের জন্য মরবো।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে নোয়াখালীতে সুবিধাবঞ্চিত ১০১জন শিশুকে নতুন জামা উপহার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে ১০১জন শিশুর হাতে নতুন জামা তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র মো. শহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল। এরআগে তিনি শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন।
সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। মুজিব চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে সকালে মুজিব চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শিশুদের নিয়ে কেক কাটা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপসানালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের উদ্দ্যেগে হাসপাতাল, জেলাখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এমআই