মোঃ আব্দুল্লাহ কাদের, মালদ্বীপ থেকে :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল (এমপি)। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধায় মালদ্বীপস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এই শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। দিবসটি যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিন এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ পালন করেছে। জাতির পিতার ১০২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাসে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং দূতাবাস চত্বর আলোকচিত্র, বর্ণাঢ্য ব্যানার ও বেলুন দিয়ে সজ্জিত করা হয় দূতাবাসের হলরুম।
১৭ মার্চ সকালে দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শুরু হয়। কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়া, জাতির পিতার কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সান্ধ্যকালীন আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোঃ সোহেল পারভেজ।
আলোচনাপর্বে প্রথমেই প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ হতে দিবসটি উপলক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: মোক্তার আলী লস্কর।
বিশেষ অতিথি মেসবাহ উদ্দিন তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পদক্ষেপ ও দিক নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। এছাড়াও তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহতী জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনাপর্বে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ পরিবারবর্গ এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি শিশুকিশোর এবং যুবকদের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন।
সবশেষে,, অনুষ্ঠানের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার, উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও দর্শকদের ধন্যবাদ জানান ও জাতির পিতার আদর্শ ধারণ সহ সোনার বাংলা গঠনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সহ প্রবাসীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কেক কাটেন এবং দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসে শিশুদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সময় জার্নাল/ইএইচ