এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাইকিং করে আবারো দুই গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে অন্তত পক্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া ও চৌকিঘাটা গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার(২৩ মার্চ)ভোরে উপজেলার ঘারুয়া বাজার, সংলগ্ন ঘারুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মহড়া চলে। পরবর্তী প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ২২ জন আহত হন। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে বাজারের বেশ কিছু দোকান-পাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌকিঘাটা ও ঘারুয়া গ্রামের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক,সাবেক চেয়ারম্যান সফি উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক, ঘারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফি উদ্দিন মোল্লা জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও সবাই না মানার কারনে ঘটনাটি সংঘর্ষে রুপ নেয়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পাওয়া মাত্র আমদের পুলিশ বাহিনীর একটি ফোর্স পাঠিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচড়া ও সোনাখোলা গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩২ জন আহত হয়।
এমআই