এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট :
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দুর্বৃত্তরা এক সরকারি কর্মচারিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকারীদের ধরতে এবং কারণ উদঘাটন করতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। তবে পুলিশ এখনো জানাতে পারেনি কারা কী উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নিহত নাঈম খান (২৮) বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নাঈমের স্ত্রী এবং দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তিনি মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নাঈমসহ ৪ জন মিলে বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে একটি দোকানে বসে লুডু খেলছিলেন। হঠাৎ করে নাঈমের মোবাইলে একটি ভিডিও কল আসে। ওই প্রান্ত থেকে নারীকণ্ঠ ভেসে আসে। ফোনটি পাওয়ার পর নাঈম ওই দোকান থেকে উঠে কথা বলতে বলতে পাশে যান। এর কিছু সময় পর চিকিৎকার শুনে তার সঙ্গীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় নাঈম পড়ে আছেন।
নাঈমের বৃদ্ধ বাবা আবুল খান জানান, তার ছেলের সাথে কারো শত্রুতা নেই। এলাকার মানুষের সাথে তাদের সুস্পর্ক রয়েছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ জানান, দুর্বৃত্তরা নাঈমকে গলা কেটে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কারা কী উদ্দেশ্যে নাঈমকে হত্যা করেছে তা জানাতে পারেননি ওসি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং কারণ উদঘাটন করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
সময় জার্নাল/ইএইচ