দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সুকান্ত মন্ডল নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই শিক্ষক গ্রাম থেকে পলাতক রয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী তরুণী।
অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গুয়াধানা গ্রামের সুনীল মন্ডলের ছেলে ও উপজেলার ঘোষেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ।
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বলেন, সুকান্ত মন্ডল আমার সাথে প্রেম করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ ঘুরছিলো। তখন আমি রাজি না হলে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তার বন্ধু পূর্ণেন্দু ও রমেনকে পাঠায়। তারা আমাকে অনেক বুঝিয়ে প্রেম করতে রাজি করায়। প্রেমের কিছুদিন পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে সুকান্ত। এভাবে কিছুদিন চলার পর প্রেমের বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়।
তখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে কয়েকমাস সময় চায় সুকান্ত। তারপরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। কিছুদিন পরে রেজিস্ট্রি করার জন্য আমি তাকে চাপ দিলে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয় ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে খোজ নিয়ে জানতে পেরেছি সুকান্ত আমাকে ঠকিয়ে তার ভাইয়ের শালিকা শ্রাবনীর সাথে প্রেম করছে। তাই আমি ন্যায় বিচারের দাবি করছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সে তার পড়াশোনা সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে আমার সাথে প্রেম করেছে। আমার গ্রামের মুরব্বীরা যেটা ভালো বুঝবেন সেটা করবেন। তাদের সাথে কথা না বলে আমি আর কিছু বলতে পারব না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কল্পনা রানী ঘোষ বলেন, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। এবিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণী কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি তদন্ত তন্ময় মন্ডল বলেন, ধর্ষনের বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআই