একফালি চাঁদ সাথে নিয়ে এলো
- শেখ ফাহমিদা নাজনীন
বাইরে হাওয়ায় ও কিসের গন্ধ, বুনো গোলাপের নাকি?
থেকে থেকে আজ দখিনা বাতাস রোদে দিয়ে যায় ঝাঁকি।
চনমনে রোদ, ঝনঝনে রোদ, গা জ্বালানি রোদ গুম,
আজ সারাদিন সূর্যের তেজে মেঘ মেঘ, ঘুম ঘুম।
উঠোনের কোণে ছোট চারাগাছ হলদেটে ছিলো তাপে,
ধুলো ওড়া মাটি ভারি ঝঞ্ঝাটি, সবুজ নেতিয়ে ভাপে।
ঘরের বাইরে ভেজা ভেজা বুঝি? বৃষ্টি আসবে নাকি?
দখিনা হাওয়ায় শীত মিশে গেলে বৃষ্টির রঙ আঁকি।
হয়তো কোথাও, কাছেপিঠে, দূরে ঝাঁপিয়ে নেমেছে ঢল,
আজ সারাদিন হাওয়ার চিঠিতে তারই জোর কোলাহল।
আজকে বুকের বাম পাশটাতে খামচে ধরেছে সুখ,
যাকেই দেখছি, ঘরে বা বাইরে প্রশান্তিময় মুখ।
কারও অযাচিত মিছে কটু কথা বিঁধছে না গায়ে মোটে,
অজানা কি কোনো সুখের বার্তা আসবে এ পথে হেঁটে?
কোন সে বার্তা? কি মধুর কথা? মনে দিয়ে যায় দোলা,
আকাশটা যেন ঠিক আকাশ নয়, একপাতা চিঠি খোলা।
চিঠি এলো কি গো, মানুষের দ্বোরে, সুখবর কিছু নিয়ে?
পশ্চিমাকাশে একফালি চাঁদ জানালো কি উঁকি দিয়ে?
সারাদিন ধরে দখিনা বাতাস তারই সাজে ছিলো রত,
সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ বলে গেলো, সুসময় সমাগত!
এলো সুসময়, বড় নগণ্য মানুষের ঘরে আজ,
ক্লেদাক্ত শত পাপের খোলস ভেঙে ফেলবার কাজ।
শত বছরের শত পাপরাশি ধুয়ে মুছে হবে শুদ্ধ,
ছড়িয়ে পড়বে মহানুভবতা, এতদিন ছিলো রুদ্ধ।
আজ সন্ধ্যার একফালি চাঁদ সাথে নিয়ে এলো ক্ষণ,
সাথে নিয়ে এলো মাহে রমজান, প্রভু প্রেমে শিহরণ।
শেখ ফাহমিদা নাজনীন
২ এপ্রিল ২০২২।