এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) তাদের জমির দখল করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন। এতে প্রায় ৫ একর জমি অবৈধ দখল মুক্ত হল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত জেলার বোয়ালমারী উপজেলার মাইজকান্দি- ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বোয়ালমারী পৌরসভার ওয়াপদা মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রায় শতাধীক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, মাইজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহা সড়কের উভয়পাশে দীর্ঘদিন ধরে জোর পূর্বক, ক্ষমতা অপব্যাবহারের মাধ্যমে দখল করে ঘর-বাড়ি,দোকান-পাট স্থাপনা গড়ে তুলে। একাধিক প্রভাবশালী ব্যাক্তির অবৈধ দখলে থাকা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ। এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় চার থেকে পাঁচ একর জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আজিজুল হক অভিযোগ করে জানান, ওয়াপদা মোড়ে আমাদের একটি ঘর আংশিক ভাঙ্গা পড়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে হাল রেকর্ড অনুসরণ করা হয়নি। এ ছাড়াও সবাইকে সমানভাবে দেখা হয়নি। আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি অবৈধভাবে জায়গা দখল করে থাকলেও ওই নেতার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি।
অভিযান পরিচালনাকারী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা উপসচিব অনিন্দিতা রায় বলেন, উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ ও মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী শুক্রবার(১ এপ্রিল) ছিল অবৈধ দখলদারদের নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার শেষ দিন। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় বুলডোজার দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (ফরিদপুর সড়ক বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল জানান, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমির সীমানা লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়। সে সিমানার মধ্যেই আমরা কাজ করেছি।
প্রভাবশালী নেতার অবৈধ স্থাপনা না ভাঙ্গার বিষয়ে বলেন, অবৈধ দখলদার যতো প্রভাবশালী হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে, উপ সহকারী প্রকৌশলী সুমন কর্মকার।
সময় জার্নাল/ইএইচ