এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের মোছলোন্দপুর গ্রামের অসহায় ব্যক্তি উসমান শেখের বাড়ীর জায়গা দখল ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আদালতে ১৪৪ ধারা জারী করা হলেও তা উপেক্ষা করে সীমানা প্রাচীর নির্মান ও বাঁশঝাড় কেটে নেয়া হচ্ছে।
এসব বিষয় নিয়ে রবিবার দুপুরে মধুখালী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন ভুক্তভোগী উসমান শেখের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার পিতা উসমান শেখ ১৯৫৭ সালে ক্রয়কৃত জমিতে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি, মছলন্দপুর হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা রুবেল, জুয়েল, রকিবুল, শহিদুল, ইব্রাহিম গংয়েরা তাদের ১১ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। সেই জমিতে থাকা ঘর, টিনের বেড়া ও বাঁশঝাড়সহ বেশকিছু গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ নিয়ে আদালতে মামলা করা হলে আদালত উক্ত জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তারা জমি দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা তাদের এসব কাজে বাঁধা দিতে গেলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জায়গটির বিষয়ে একাধিকবার শালিস হয়েছে। তারা কোন শালিসই মানছেন না। সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের জায়গা দখল করার পর আমার বাবা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাবা অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে থাকার সুবাদে এবং আমরা বেশীর ভাগ সময় ফরিদপুরে থাকার কারনে জুয়েল গংয়েরা জমি দখল করে সেখানে ঘর নির্মান করেছে। এছাড়া গাছপালা কেটে তা বিক্রি করে দিয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে কোন কিছু করলে আমাদের প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা মধুখালী থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
জমির মালিক উসমান শেখ অভিযোগ করে জানান, আমরা গরীব ও অসহায় মানুষ। তারা প্রভাবশালী বিধায় আমাদের জমিটি দখল করে সেখানে ঘর তুলছে। আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় তারা আমাকে এবং আমার ছেলেদের ক্ষতি করতে পারে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জায়গা দখলের বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান জুয়েল শেখ। তিনি বলেন, আমাদের জায়গায় আমরা ঘর তুলছি। উসমান শেখ যে জায়গাটি তার বলে দাবী করছেন তা সঠিক নয়। এছাড়া কাউকে ভয়ভীতি দেখানো হয়নি।
এমআই