রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
ফেরি স্বল্পতা, নাব্যতা সংকট ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে গাড়ির চাপে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রয়েছে ২৩টি ফেরি। এর মধ্যে সচল থাকে ১৬ থেকে ১৮টি ফেরি। এছাড়াও নাব্যতা সংকটের কারণে দৌলতদিয়ার ৫ ও ৭ নম্বর ঘাটের বেসিনে পানি কমে পন্টুন থেকে সড়ক খাড়া হওয়ায় গাড়ি লোড-আনলোডে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ঘাটের সামনে ডুবোচর জেগে ওঠায় প্রায় এক কিলোমিটার পথ ঘুরে সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চলছে। এতে উভয় ঘাটেই ফেরি ভিড়তে স্বাভাবিকের থেকেও দিগুণ সময় লাগছে।
এ ছাড়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি বন্ধের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। আগে পাঁচ–ছয় হাজার গাড়ি পারাপার হতো। গাড়ির চাপ প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকলেও বাড়েনি ঘাটের সংখ্যা। মূলত এসব কারণেই দৌলতদিয়ায় প্রতিনিয়তই এ অবস্থার তৈরি হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকা ছেড়ে গেছে। ফেরি পেতে এসব ট্রাকের ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ট্রাকচালক ও সহকারীদের।
দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে এ নৌ রুটে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ, নাব্যতা সংকট ও ফেরি স্বল্পতার কারণে দৌলতদিয়া অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো নির্বিঘ্নে পার হচ্ছে।
এমআই