এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোংলায় এক সময়ের বহিষ্কৃত নেত্রী যুব মহিলা লীগের সভাপতি সুমী লীলা ও সাধারণ সম্পাদক স্তুতি সরকার অসাংগঠনিক ভাবে পৌরসভা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি মোসাঃ শিউলি আক্তার (৩৫ )কে বহিষ্কার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিউলি আক্তার মোংলা পৌরসভার সংরক্ষিত ৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর।
অভিযোগে শিউলি আক্তার জানান, গত ৮ এপ্রিল শুক্রবার মোংলা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাজিয়া স্বপ্না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে মিষ্টি কুমড়া নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। আমি এই পোস্ট এর বিপরীতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পক্ষে দুটো কমেন্ট করি। এই কমেন্টকে ইস্যু করে ১০ এপ্রিল আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ পৌর যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সুমী লীলা ও সাধারণ সম্পাদক স্তুতি সরকার সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে আমাকে বহিষ্কার করে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাসংবাদ পরিবেশন করে।
আমাকে বহিষ্কারের বিষয়টি উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দুকে আমি জানালে তারা বলেন, সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করার কোন এখতিয়ার পৌর কমিটির নাই। আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে হেরে যাবার পর থেকেই সুমী লীলা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই সুমি
লীলা তার নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে, সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জামায়াত-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের কাছে বিতর্কিত করার জন্য একটা পজেটিভ কমেন্টসকে কেন্দ্র করে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছে ও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমার ভাবমুর্তি নষ্ট করেছে।
এ বিষয়ে মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেখ আঃ রহমান বলেন, শিউলী আক্তারের সাথে যা ঘটেছে সেই এই বিষয় টা খুব খারাপ হয়েছে আমি ফেসবুকে বিষয়টা দেখেছি। সাংগঠনিক ভাবে এভাবে বহিস্কারের কোন ক্ষমতা পৌর কমিটির নাই।
বাগেরহাট জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক লুনা সিদ্দিকি বলেন, আমাকে না জানিয়ে, নিজেদের ইচ্ছে মত সুমী লীলা ও স্তুতি সরকার এ ধরনের কাজ করেছে। ইতিমধ্যে বিষয়টা সামাজিক মিডিয়ায় ভাইরালসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে যা মোটেও সমীচিন নয়। দলের ভাব মুর্তি ক্ষুণ্ণ করার পিছনে যারাই থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি করবি বলেন, বিষয় টা আমি ফেসবুক সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি পরে খবর নিয়ে জেনেছি যে এই শিউলী আক্তারকে অপমান করার জন্য বহিষ্কার করেছে। আমার জানামতে সুমী লীলাকে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কথার বাহিরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় তাকে দলের সব কিছু থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। বিষয়টি সঠিকভাবে যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে সুমী লীলা বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে উসকানিমূলক কমেন্ট করায় পৌর কমিটির নেত্রীবৃন্দের মতামতের উপর ভিত্তি করে এ স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করার এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এমআই