মেডিকেল এডমিশন টেস্টে পরীক্ষার্থী,অভিভাবক, স্বজনদের উপচে পড়া ভীড় কি বার্তা দিচ্ছে?
লাখ লাখ অভিভাবক ও দেশের মানুষের মনে নিজ সন্তানকে ডাক্তার বানানোর বাসনা ও অদম্য আগ্রহ।
ব্যাপারটা পজেটিভ।
এখনো অভিভাবকরা মেধাবী সন্তানকে ডাক্তার বানাতে চায় এই বঙ্গদেশে।
ব্যাপারটা পজেটিভ।
যারা চান্স পাবে, তারা বুঝবে কত ধানে কত চাল হয়।
তাদের অভিভাবকরা বুঝবেন কোটি কোটি টাকা আসলে গনার পর মাস শেষে কত হয়?
ঘন্টায় একশো টাকা ডিউটি।
তা নিয়েও কাড়াকাড়ি।
যারা চান্স পাবেননা, তারা সহ পুরো দেশবাসী মনের ক্ষোভ ও জ্বালা জুড়ানোর ঐতিহাসিক বাণী ছাড়বেন ক্ষণে ক্ষণে।
।। শালা কসাই ।।
চান্স না পাওয়ার পর ডাক্তারদের কসাই গালি দিলে শরীরে অন্যরকম গঞ্জিকা সেবনের ফিল আসবে
এটা কিন্ত পজেটিভ।
তাছাড়া তোমরা যারা দেশের মানুষের ইনকাম ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তার হতে যাচ্ছো, তারা দেশের মানুষের দিকে একটু খেয়াল রাখিও।
কিল, থাপ্পড়, ঘুষি দিলেও হাসিমুখে প্রেসক্রিপশান লিখে দিও।
ইউনিয়ন, উপজেলার বড় নেতার ছোট ভাইয়ের শালীর দেবরের মামাতো ভাই চেম্বারে এসে ঝাঁড়ি দিলে দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে চেয়ার ছেড়ে দিও।।
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে জনগন ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট চাইলে দিয়ে দিও।
না দিতে পারলে নিজ পিঠ পেতে দিও গুড়ুম গুড়ুম কিল দেওয়ার জন্য।
বাসায় জানিয়ে রেখো এমবিবিএস পাশ করেই তুমি এক মহা শুণ্যতায় হাবুডুবু খাওয়া শুরু করবে।
বাবা মা যেন এই আশায় না থাকেন, তুমি এমবিবিএস পাশ করেই ফ্যামিলির দায়িত্ব নিয়ে ফেলবে।
সিম্পল এমবিবিএস থেকে মানুষের কাছে বড় ডাক্তার হয়ে উঠতে আগামী ১৫ বছর নিরলসভাবে লেখাপড়া, ট্রেনিং, কাজ করতে করতে তোমার পশ্চাৎদেশের মাংশপেশী শুকিয়ে যাবে অনেকখানি।
এবং একজন অসামাজিক জীব হয়ে আগামী দিনগুলোতে পৃথিবীতে টিকে থাকবে।
এরমধ্যে দুই চারজন আবার আত্মহত্যা করে বসবেন।
ছেঁড়া কাথায় শুয়ে শুয়ে আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখলেও কাথাটা ছেঁড়াই থাকবে আগামী এক যুগ জানিয়ে রেখো বাসায়।
শুভকামনা জানিও।।