বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ, কয়েকজন সহিংস ব্যবসায়ী চিহ্নিত

বুধবার, এপ্রিল ২০, ২০২২
১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ, কয়েকজন সহিংস ব্যবসায়ী চিহ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কারা দায়ী— সে বিষয়ে জানতে কমপক্ষে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

ডিএমপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়াদের বেশিরভাগই দোকান কর্মচারী ও ফুটপাতে হকার। এছাড়া ঢাকা কলেজের বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

ঘটনাস্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিনা উসকানিতে কেউ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে কি না— সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।

সূত্র আরও জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ বেশ কয়েকজন সহিংস হকারকে চিহ্নিত করেছে। একাধিক ফুটেজে ঘুরে ফিরে তাদের চেহারা দেখা গেছে। সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ ও পথচারীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন তারা।

নিউ মার্কেট থানা ছাড়াও ডিএমপির নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও সাইবার টিম ঘটনা তদন্তে কাজ করছে। মিথ্যা তথ্য প্রচার করে কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে কি না— তা শনাক্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

নিউ মার্কেট থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় একটি মামলা লেখা হচ্ছে। মামলায় ডেলিভারিম্যান নাহিদকে হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। সন্ধ্যা নাগাদ মামলা দেওয়ার কাজ শেষ হবে।

গত সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।

মঙ্গলবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে এবং লাঠি হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। ব্যবসায়ী-কর্মচারীরাও লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো শুরু করেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে গোটা নিউ মার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকায়। থেমে থেমে সারাদিন চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী-কর্মচারী আহত হন। দুই শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদ হোসেন মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে।

সংঘর্ষের খবর সংগ্রহে গিয়ে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের হামলায় আহত হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্তত ৯ জন সাংবাদিক।

শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ১২টার দিকে। ফলে বাধাহীনভাবে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া আগের রাতের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার সকালে পুলিশের কোনো সতর্কতামূলক পদক্ষেপ সেখানে দেখা যায়নি।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল