মো. এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
চৌদ্দগ্রামে সংরক্ষিত ইউপি মহিলা সদস্যের ৩০ কেজি ন্যায্য মূল্যের চাল উত্তোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে নারীসহ ৫ জন আহত করেছে। এদের মধ্যে হারুন মিয়া নামের এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ইউপি সদস্য হাসিনা বেগমসহ একই পরিবারের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তথ্যটি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা। ঘটনাটি ঘটেছে উজিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাশিপুর গ্রামে।
আহত হারুন মিয়ার মেয়ে মিনা আক্তার বৃহস্পতিবার জানান, মঙ্গলবার তার চাচি স্থানীয় ইউপি মহিলা সদস্য হাসিনা বেগম তাদের পরিবারের একটি কার্ডের ন্যায্য মূল্যের ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করে। চাল আত্মসাতের ঘটনাটি তার বাবা হারুন মিয়া জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে এ নিয়ে দুই পরিবারে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ওইদিন ইফতারের পরে হাসিনা বেগমের চাচাতো ভাই মানিক চাপাতি হারুন মিয়াকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। হারুন মিয়ার আত্মচিৎকারে তার ছেলে আতাউল ইসলাম মিঠু, সাইফুল ইসলাম, মেয়ে মিনা আক্তার ও কাজের লোক খোরশেদ আলম এগিয়ে এলে তাদেরকেও হাসিনা বেগম, তার স্বামী হিরণ মিয়াসহ অন্যারা পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হারুন মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মেয়ে মিনা আক্তার দাবি করেন।
এ ঘটনায় হারুন মিয়ার স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদি হয়ে মহিলা ইউপি সদস্য হাসিনা বেগমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য হাসিনা বেগম, স্বামী হিরণ মিয়া, বাবা আবদুল হাকিম ও মা মরিয়মকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আরিফ হোসেন বলেন, ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। হারুন মিয়া নামে এক জখমীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, মাত্র ৩০ কেজি ন্যায্যমূল্যের চাল আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র মহিলা ইউপি সদস্য হাসিনা বেগমের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। আমরা ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।
এমআই