মো: আবদুল্লাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সামনে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী সাবেক সংসদ সদস্য হাসনা জসিম উদদীন মওদুদের অনুসারীদের সঙ্গে উপজেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে তিন আগে উপজেলা বিএনপি বিবদমান দুটি গ্রুপ একই স্থানে ইফতার মাহফিল করার ঘোষণা দেয়। এতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে। পরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে এক সাথে দুই গ্রুপের নেতৃবৃন্দ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ইফতার মাহফিলে উপজেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম স্টেজে উঠার সময়ে তাঁর অনুসারীরা তাঁর পক্ষে স্লোগান দেয়। এসময় হাসনা মওদুদের অনুসারীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। এরপর ফখরুল অনুসারী ও হাসনা মওদুদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ, একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে হাসনা মওদুদের অনুসারীরা ইফতার মাহফিল থেকে চলে যায়। ফখরুল অনুসারীদের অংশ গ্রহণে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়।
বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন ফাহাদ বলেন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কিছু বহিরাগত লোকজন এখানে হট্রগোল করতে চেয়েছিল। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রিপন জানান, অনেক বড় অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে দুই গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ তিনি নাকচ করে দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই