নূর নবী হাসান:
নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা যেসব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মাধ্যমে গতিশীল হয় তাদের মধ্যে একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। আমার নাম মোঃ নুর নবী হাসান। আমার বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। আমি ২০১০ সালে প্রথম মিশরের কায়রো শহরে আসি, পরবর্তীতে একটা কোম্পানিতে চাকুরি করি। দীর্ঘ সময় চাকুরির পর আমার মনে হয়েছে অন্যর প্রতিষ্ঠানে যে শ্রম দিই সেটি যদি নিজের জন্য কাজে লাগাই তাহলে ভালো কিছু সম্ভব ও আমার বাঙালি ভাইদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার ইচ্ছা থেকে ৩০-৪০ জন শ্রমিক নিয়ে একটি গার্মেন্স ফ্যাক্টরি ওপেন করি। যেটির নাম দিই Nur Fashion Egypt। বর্তমানে আমার ৩টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। যেখানে ৩০০ এর বেশি শ্রমিক কাজ করে যার অধিকাংশ বাঙালি। করোনা পরিস্থিতি ও ভিসা জটিলতা শেষ হলে আশা করি আরো অনেক বাঙালি ভাইদের নিয়োগ দিতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। আমি সবসময় বুকে একটি কথা ধারণ করেছি কোনো কাজ ছোট নয়, ছোট থেকেই একজন মানুষকে বড় হতে হয়। চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তির সৃষ্টি হলেও শতভাগ পরিশ্রম ও সততা দিয়ে যে কোনো কাজকে সহজ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। সবকিছুর পরও একটা মানুষের নাড়ীর টান থেকেই যায়। তাই বাংলাদেশেও আমি ফ্যাক্টরি করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সবসময় আমার জন্মভূমি মঠবাড়িয়ার মানুষের খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করি। প্রবাসে থাকলে আমার মন গ্রামেই পরে থাকে। গ্রামে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা করেছি। তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়ার চেষ্টা করি। পরিশেষে আমি সবসময়ই চাই, প্রবাসী ভাইদের একটু মূল্যায়ন করা হোক। তাদের বিমানবন্দর থেকে সর্বক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা হোক। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় মহান আল্লাহ তায়ালা আমার কঠিন যাত্রাকে সহজ করে দিয়েছেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে প্রবাসী বাঙালি ভাইদের অনেক দূর যেতে পারি। আল্লাহ হাফিজ।