খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নে তান্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে শ’ শ’ বাড়িঘড় ও ফসলী জমি তছনছ হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপি তান্ডব চালিয়ে লন্ডভন্ড করেছে শ’ শ’ ঘরবাড়ি । ভেঙ্গে গেছে হাজার হাজার গাছের ডালপালা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ৪২০ হেক্টর ভুট্টা(রবি), ১৫ হেক্টর (খরিপ-১), ১৭৫ হেক্টর বোরো ধান ও ৪৫ হেক্টর শাকসবজি ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে। আগামী ১ সপ্তাহে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঝড়ে আহত বা নিহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি, দক্ষিন দুরাকুটি, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইসমাইল, ফকিরপাড়া, রাজিব, নিতাই ইউনিয়নের নিতাই কাচারীর বাজার, মুশরুত বেলতলিসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে শুক্রবার মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে অসহায় গরীর মানুষের ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। আম,কাঁঠাল,লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ভেঙ্গে গেছে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের ভুটুটু মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখীর তান্ডব শুরু হলে আমার পাঁকা বসতঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। এবং বাড়ির চারপাশে লিচু, আম, কাঁঠাল গাছগুলো ভেঙ্গে গেছে। ঝড়ের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, ঝড়ে গাছের ডাল উড়ে গিয়ে ১১ হাজার কেভি বৈদ্যুতিক লাইনের উপর ঝুলে রয়েছে। নিতাই ইউনিয়নের কাচারীর হাট গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, আমার বাড়ির চারদিকে লাগানো আমগাছ,লিচুগাছ,সুপারিগাছ সহ গ্রামের মানুষের কয়েকশ গাছ ভেঙ্গে গেছে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার রাশেদুজ্জামন জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের কারনে কিশোরগঞ্জ তারাগঞ্জ সড়ক,মাগুড়া কিশোরগঞ্জ সড়ক, রংপুর নীলফামারী সড়কের দুপাশে শ’ শ’ গাছের ডালপালা ভেঙ্গে গিয়ে সড়কে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এলাকাবাসীর সহায়তায় আবার কোথাও ফায়ার সার্ভিসের টিম গাছগুলো সড়ক থেকে সড়িয়ে দিয়েছে।
এমআই