এহসান রানা, ফরিদপুর: বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসলাম, সাথে সাথে পেয়ে গেলাম অটো বাইক চালককে বললাম তুমি যাবে? বাইক চালক বললো যাবে, এমন সময় আমার সহকর্মী আমাকে ফোন করলো, ফোন ধরলাম, কথা হলো লকডাউন নিয়ে। এ কথা শুনেই অটোবাইক চালক আমাকে বললো ভাই আপনি সাংবাদিক, আমি হ্যাঁ। প্রশ্ন করলাম কেন? অটোবাইক চালক আমাকে বললো ভাই লকডাউনে তো সব বন্ধ থাকবে, আমার কি হবে? আমি বললাম সবার যা হবে তোমারও তাই হবে। বাইক চালক আবারও বললো, ভাই আমার বৃদ্ধ মা-বাবা আছে এর সাথে আরো চার জন, আমি, আমার স্ত্রী ও দুই মেয়ে। বাবা-মার প্রতিদিন ২৫০ টাকার ঔষধ কিনতে হয়। আমিই বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। যদি
অটোবাইক চালাতে না পারি মা-বাবার ঔষধ কিনবো কি দিয়ে।
এরকম অনেক অটো চালক, ছোট ছোট দোকানদার, চা বিক্রেতা, ছোট খাবার হোটেলের মালিক ও কর্মচারীদের একই কথা। এই লকডাউনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ছোট-খাট দোকান মালিক বা ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রভাব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ৫ই এপ্রিল থেকে সাড়া দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
সময় জার্নাল/আরইউ