আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ‘অশনি’। দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১০ মে) থেকে ওড়িশার দিকে ঘুরতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র গতিপথ। পরে সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছাতে পারে উপকূলে।
অশনির প্রভাবে সোমবার (৯ মে) রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলায় বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। কলকাতার বহু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে পর্যটন এলাকা দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুরসহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
কলকাতার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অশনি প্রথমে আঘাত হানতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। এরপর তা বাঁক নিয়ে ঢুকতে পারে ওড়িশায়। পশ্চিমবঙ্গে তেমন জোরালোভাবে আঘাত না হানলেও এই রাজ্যেও যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে সে ‘অশনি সংকেত’ পাওয়া গেছে আগেই।
অশনি মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তৈরি রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এনডিআরএফ। জেলা সদরে মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল, তাঁবুসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী। কলকাতা বিমানবন্দরে এরইমধ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বাংলাদেশে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ। আবহাওয়া অফিস বলছে, বাংলাদেশে এর কতটা প্রভাব পড়বে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর পর্যন্ত।
ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, গড়ে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। তবে গতিপথ পরিবর্তন করে সেটি কোন দিকে আঘাত হানবে তা জানা যাবে মঙ্গলবার দুপুরের পর।
সময় জার্নাল/ইএইচ