নিজস্ব প্রতিনিধি: সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে পালিয়ে থাকার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত রুলের শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ। সেটির বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১৬ মে) এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে ভারতে গ্রেফতার হওয়ার তথ্য আদালতকে জানান রাষ্ট্রপক্ষ।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষ এ সংক্রান্ত রুল শুনানির জন্য উপস্থানের পর রুলটি আজ (মঙ্গলবার) শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চে কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) সকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন। এসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানও ছিলেন।
এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে–ই হোক। আমরা এ ব্যাপারে সিরিয়াস।’
২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদনে ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
‘ইতিমধ্যে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, পি কে হালদার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নলেজে এনেছি। রুল শুনানির জন্য মেনশন করেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে।’
গত শনিবার (১৩ মে) ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ থেকে পলাতক পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে।
সময় জার্নাল/এলআর