ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
নানা প্রলোভন দেখিয়ে নাটোরের লালপুরে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবির মুখে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এর আগে সোমবার দুপুরে উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা স্কুল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে ওই শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি করেন।
স্কুলের ভুক্তভোগী ছাত্রী , তার পরিবার ও অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক রেজাউল করিম (জাহাঙ্গীর) দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পরিক্ষায় পাশ করানোর প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীর সাথে অবৈধ ও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা ওই শিক্ষকের গ্রেপ্তারসহ স্কুল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এদিকে এ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম। তবে তার সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোনে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ তারিখ মৌখিক ভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযুক্ত শিক্ষককে বিয়ে করতে চান। শিক্ষক রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে গতকাল রাতে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর