তামিমের সেঞ্চুরি রেশ কাটতে না কাটতেই ডলারও সেঞ্চুরি মেরে দিল। খোলা বাজারে ডলার আজ ১০২ টাকা ছাড়িয়েছে, যেখানে সরকার নির্ধারিত রেইট ৮৭.৫০ টাকা।
লোকজন অনেকটা ভয়ে, কেউ আবার মুনাফার আশায় ডলার কিনছে আর এদিকে ডলারের চাহিদার কারনে হুন্ডি ওয়ালারা মনে হয় টাকার বস্তা নিয়ে নামবে। হুন্ডিওয়ালাদের লোভে পড়ে প্রবাসী ভাই ব্রাদাররা বৈধ পথে ডলার পাঠানো কমিয়ে দিবে।
ফলাফল রেমিট্যান্স এর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। সরকার বাধ্য হয়ে টাকার মান কমাবে, দ্রব্যমূল্য আরও একধাপ লাফ দিবে।
আগামী বছর থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার থেকে নেয়া লোন এর কিস্তি ফেরত দিতে হবে এবং সেটা বিরাট অংকের ডলারে দিতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ডলার সংকট বাড়বে দিনদিন, সম্ভাব্য ধাক্কাটা বেশ বড়ই মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশকে সম্ভাব্য বিপদ থেকে বাচাতে বড় ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে আমাদের প্রবাসীরা ভাই ব্রাদাররা।
আসুন কিছু লাভের আশা বাদ দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠিয়ে বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাই। কোরবানি ঈদের জন্য যে টাকা পাঠাব সেটা যেন কোনমতেই হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠাই। হুন্ডিরওয়ালারা কিন্ত দেশ থেকে টাকা পাচার করে থাকে। তাই ওদের মাধ্যমে টাকা পাঠানো মানেই কিন্ত দেশের টাকা পাচারে সহযোগিতা করা।