ক্রীড়া প্রতিবেদক:
২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ রান করেন তামিম ইকবাল। তাতেই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৪ হাজার রানের মালিক হয়ে যান তিনি। তবে এই ক্লাবে বেশিদিন একা থাকতে পারেননি তামিম।
একই বছর ফিরতি সফরে বাংলাদেশে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪ রান করার পথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এই ফরম্যাটে ৪ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন মুশফিক। এবার প্রায় চার বছর পর একই ম্যাচে ৫ হাজারি ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় তামিম ও মুশফিক।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টটি শুরুর আগে মুশফিকের নামের পাশে ছিল ৪৯৩২ রান, তামিমের সংগ্রহ ছিল ৪৮৪৮ রান। মুশফিকের চেয়ে ৮৪ রানে পিছিয়ে থেকে এই ম্যাচে নেমেছেন তামিম। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে এই ব্যবধান কমে এসেছে মাত্র ৪ রানে।
মঙ্গলবার হাতের পেশিতে টানের কারণে আহত অবসর হয়েছেন তামিম। তার আগে প্রায় ৩৯ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। অপরাজিত থেকে আহত অবসর হওয়ার আগে তিনি করেছেন ২১৭ বলে ১৩৩ রান। ফলে পাঁচ হাজারি ক্লাবে যেতে প্রয়োজন আর মাত্র ১৯ রান।
অন্যদিকে সাগরিকার ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে অনায়াসেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন মুশফিক। পাঁচ হাজারি ক্লাবে ঢুকতে তার দরকার ছিল ৬৮ রান। মনে হচ্ছিল আজই সেটি করে ফেলবেন তিনি। কিন্তু দিন শেষে ১৩৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত মুশফিক। অর্থাৎ তার করতে হবে আর ১৫ রান।
বুধবার একইদিনে হয়ে যেতে পারে তামিম-মুশফিকের পাঁচ হাজার রান। সেক্ষেত্রে মুশফিকেরই আগে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ সকালে আরেক হাফসেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসের সঙ্গে তিনিই ব্যাটিংয়ে নামবেন। অন্যদিকে উইকেট পড়ার আগে আর ব্যাটিংয়ে আসতে পারবেন না তামিম।
এমআই