নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে সিলেটে কোথাও বন্যার পানি কমেছে আবার কোথাও বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে সিলেট জেলায় বন্যার পানি সামান্য কমেছে। তবে সিলেট মহানগরে দশমিক এক সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
জেলায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারা নদীর জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে দশমিক ২ সেন্টিমিটার বন্যার পানি কমেছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে পানির স্তর পরিমাপে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের প্রধান নদী সুরমা কানাইঘাট (সিলেট) পয়েন্টে দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। তবে এখনও তা বিপৎসীমার ১৩ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে। শাহজালাল উপশহর এলাকায় লোকজন প্লাস্টিকের নৌকা দিয়ে রাস্তায় চলাচল করছেন। ওই এলাকায় বিদ্যুতের একটি ফিডার পানির নিচে চলে যাওয়ায় ৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন রয়েছেন।
নগরের ঘাসিটুলা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বন্যার কারণে রাস্তায় হাঁটুর ওপরে পানি থাকায় কলাগাছ দিয়ে ভেলা (বুরা) তৈরি করছেন একদল মানুষ। কেউ কেউ জরুরি কাজ সারতে ভেলায় চলাচল করছেন।
এছাড়া নগরে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও জলমগ্ন অবস্থায় দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন নগরবাসী।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, সরকার মানুষের পাশে রয়েছে। প্রতিদিনই বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। গতকালও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
বন্যায় জেলাজুড়ে ২৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউএনওদের সার্বক্ষণিক নজরদারি করার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
সময় জার্নাল/এলআর