জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ২০মে হতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার আগামী তিন বছরের মধ্যে যাঁরা ভোটার হওয়ার যোগ্য (১৮ বছর) হবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সে হিসাবে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাঁদের জন্ম, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
বুধবার সদর উপজেলাধীন ৮নং রহিমানপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এসময় সাধারণ মানুষের অনেক বেশি ভিড় লক্ষ্যে করা যায় ভোটার হওয়ার জন্য। ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলার জন্যে সকলে উৎসুকভাবে অংশগ্রহন করে।
ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ইউটিলিটি (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস) বিলের কপি প্রয়োজন হবে।
নির্বাচন অফিস সূত্রমতে, সদর উপজেলায় বর্তমান ভোটার ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭শত ৭৯ জন। সম্ভাব্য বৃদ্ধির লক্ষমাত্রা ৩৪ হাজার ১শ ৭৮ জন। ১০ই মে ছবি তোলার কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৩ই আগস্ট পর্যন্ত চলবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ১৯৮ জন তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তাদের তদারকি করার জন্য ৪১ জন সুপারভাইজার নিয়োজিত রয়েছেন।
ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আসা ওই এলাকার মফিজুল, রহমত, জিল্লুর সহ আরো অনেকে বলেন, খুব সহজে ভোটার তালিকায় নিজের নাম দিতে পারতেছি। বাসায় এসে ভোটার তালিকায় নাম নিচ্ছে। ঘরে বসে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছি আমরা। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান সকলে।
তথ্য সংগ্রহের কাজ পরিদর্শন করেন জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রেজিশষ্ট্রেসন অফিসার রেজাউল ইসলাম এবং সুপারভাইজার মাসুদ রানা।
জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন যোগ্য ভোটারও যেন ভোটার তালিকা হতে বাদ না পরে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারেরা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে সঠিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরাও কাজগুলো মনিটরিং করছি। আমরা আশা করছি আমাদের হালনাগাদ কায্যক্রম সুন্দর ভাবে সুসম্পন্ন হবে।
এমআই